মালবাজার প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ক্ষোভ। মঙ্গলবারই, মালবাজারে দশমীর দিন রাতে হড়পা বানে ভেসে যাওয়া মানুষদের বাঁচিয়ে হিরো হয়ে যাওয়া এক ঝাঁক যুবক-যুবতীকে সিভিল সিভিক ভলেন্টিয়ার এর পদে নিয়োগ করেছে রাজ্য। তাদের হাতে এক লক্ষ টাকার এককালীন পুরস্কার শংসাপত্র এবং চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। কিন্তু এর মধ্যে আরও অনেকের নাম বাদ পড়েছে, যারা সেদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকের প্রাণরক্ষা করেছিলেন। মাল পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি এক কাউন্সিলর নিজেই এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। হলে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় এক ফোঁটা চোনার মত এখন নিয়োগ বিতর্ক কাঁটা হয়ে বিধছে শাসকদলের কাছে। মালবাজারবাসীদের অভিযোগ তরিফুল ইসলাম, ফরিদুল ইসলাম, স্বরূপ মিত্র, ডেভিড তাঁতি, শচীন নায়েক, কার্তিক মুন্ডা, ওম ভূঁইয়া এবং রাজ ওরাওরাও সেদিন নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন কিন্তু তাদের নাম কেন, কারা বাদ দিল, তার জবাব দাবি করেছেন অনেকেই। পৌর সদস্য পুলিন গোলদার অভিযোগ করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে মিসগাইড করা হয়েছে, প্রকৃত উদ্ধারকারীরা তাদের প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই তালিকার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না আরো এক কাউন্সিলর অজয় লোহার জানিয়েছেন উদ্ধারকারীদের তালিকা কারা করেছে আমি জানি না। এখানে নোংরা রাজনীতি হয়েছে। এই মুহূর্তে এর স্বীকৃতি জানানোর উপায় নেই। পরবর্তীতে রাজ্য কি করবে আদৌ বঞ্চিতদের সামনের সারিতে নিয়ে আসা হবে কিনা তা সময় অপেক্ষা। তবে তাদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি অর্গানাইজেশন। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির আহমেদ জানিয়েছেন, নিজেদের জীবন দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন তাদের মধ্যে যারা সরকারি স্বীকৃতি থেকে বাদ পড়েছেন তাদের প্রত্যেককে আমরা সংবর্ধিত করব এবং তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব। খুব দ্রুত তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে এবং প্রাপকদের কাছে নেমন্তন্নের চিঠি পৌঁছে যাবে।
