পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার পায়নি হাফিজ জুনেইদের পরিবার

২০১৭সালের ২২ জুলাই গাজিয়াবাদ থেকে খানাদাওলি গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে মথুরাগামী চলন্ত ট্রেনের মধ্যে খুন হন হাফিজ জুনাইদ খান। জুনাইদের দুই দাদা হাসিম-শাকির এবং আর এক তুতো ভাই মঈনও ছিল ওই ট্রেনে। দিল্লিতে ঈদের কেনাকাটা সেরে তারা বাড়ি ফিরছিল। সহযাত্রীদের রোষের হাত থেকে নিস্তার পাননি জুনাইদের তিন দাদাও। রেল পুলিশের দাবি, ট্রেনের সিট নিয়ে অশান্তির জেরেই খুন হয় ওই কিশোর। মথুরাগামী লোকাল ট্রেন ওখালা রেলস্টেশনে পৌঁছালে, ১৫-২০জন সহযাত্রী সিট ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু, জুনাইদরা সিট ছাড়তে রাজি হয়নি। এ নিয়ে বচসার সময়েই ওই চার জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত ওই কিশোরের পেটে ছুরি চালিয়ে দেয়। ট্রেনটি পালওয়ালের আসাওতি স্টেশনে পৌঁছলে, ওই চার জনকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে, জুনাইদকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় এক সরকারি কর্মী-সহ পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও, মূল অভিযুক্ত কিন্তু ধরাছোঁওয়ার বাইরে ছিল।
নিহতের পরিবার বলেছে যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার দেখা করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি এক বা অন্য অজুহাতে প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে পরিবারের অভিযোগ।
হাফিজ জুনায়েদের বাবা জালালুদ্দিন জানিয়েছেন, ঘটনার পর মনোহর লাল খাট্টার এবং হরিয়ানা সরকার ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন।
তিনি বলেন,“পাঁচ বছর হয়ে গেছে, আমরা কিছুই পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখা এড়াচ্ছেন। একাধিকবার ফরিদাবাদে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। একবার আমি তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এই বলে যে তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে যেতে হবে।”
জালালউদ্দিন জানান, তিনি তিনবার ফরিদাবাদে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তিনি আরও বলেন, তিনি তিনবার চণ্ডীগড়ে গিয়েছিলেন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
এমনকি কর্মকর্তারাও ঠিকমতো কথা বলেন না বলে অভিযোগ জালালউদ্দিনের। তিনি বলেন, “এখন, আমরা কারও সাথে দেখা করা এবং মামলা বা ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কথা বলাও উপযুক্ত মনে করি না।”
হাফিজ জুনায়েদের মা জানান, ঘটনার পর মাওলানা উমায়ের ইলিয়াসী গ্রামে এসে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ১০ লাখ থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন পয়সা তারা পাননি এটাই দু:খের।