অবশেষে চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন বুদ্ধিজীবীরা

রাতে জোর করে প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান তুলে দেওয়ার পর অবশেষে মুখ খুললেন বুদ্ধিজীবীরা। টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের তুলে দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন অপর্ণা সেন। শুক্রবার একটি টুইট করে পুলিশ তথা রাজ্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করলেন তিনি। এই বিশিষ্ট পরিচালক তথা অভিনেত্রী লেখেন, অনশনকারীদের সাধারণ অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল সরকার। একটি অহিংস আন্দোলনের ক্ষেত্রে কেন ১৪৪ ধারা জারি করা হল? সরকারের এই অগণতান্ত্রিক এবং অনৈতিক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করছি! শুধু অপর্ণা সেন নয় এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন বামপন্থী সমভাবাপন্ন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও। তিনি বলেন, অধিকারের দাবিতে অনশনে বসে খুব অন্যায় করেছে ওরা? নাকি এটাও সিপিএমের ষড়যন্ত্র? আপনারা সকলে আওয়াজ তুলুন।
এখানেই শেষ নয় সোশ্যাল সাইটে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তার কড়া প্রতিক্রিয়া, আজকের দিনটা অন্তত কোনও খুশি উদযাপনের ছবি পোস্ট না করে অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে আওয়াজ তুলুন। একটি বিনীত আবেদন। যারা আমার প্রোফাইলে ফ্রেন্ডলিষ্টে আছেন, আছো, আছিস, এবং যারা তৃণমূলের সাপোর্টার এখনও মানে আজকের তারিখেও,দয়া করে আমাকে আনফ্রেন্ড করুন ও নিজের মতো থাকুন। কোনও তৃণমূলের সাপোর্টারকে বন্ধু বলে ভাবতে পারছি না। তাদের বোধ এর সাথে আমার মিলবে না। সুতরাং আর বন্ধু থেকে লাভ নেই। আমি তৃণমূলের বন্ধু নই।
এক ঘটনাকে সামনে রেখে বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ প্রতিবাদ জানালেও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরকার যাতে কোনো কড়া ব্যবস্থা না নেওয়া হয় সেই আবেদন করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এই বিবৃতিতে সই করেছেন, বিনায়ক সেন, অপর্ণা সেন, বিভাস চক্রবর্তী, কৌশিক সেনরা। সেখানে সরকারকে আলোচনার মাধ্যমে এই জট কাটানোর আবেদন করা হয়েছে । আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের না করার অনুরোধ। বিবৃতিতে অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সুমন মুখোপাধ্যায়, রেশমী সেন, ঋদ্ধি সেন, কুণাল সরকাররা সাক্ষর করেছেন।