এতদিন হামেশাই শোনা যেত কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের জন্য বরাদ্দ দিচ্ছে না। এবার সেই একই অভিযোগ উঠল। তবে সেটা তুলছে অপরপক্ষ অর্থাৎ এক কেন্দ্রীয় সংস্থা। অভিযোগ রাজ্য সরকার তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ফ্রন্ট না দেওয়ার জন্য সমস্যায় পড়ছে কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর প্রায় ছয় দফায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে দরবার করেও টাকা পাওয়া যায়নি। আর তার ফলে সমস্যায় এনসিসি কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এনসিসির রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত এডিজি ডিজি এনসিসিকে চিঠি দিয়ে তাদের এই অর্থনৈতিক সংকটের কথা জানিয়েছে। আর সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। জানা গিয়েছে এনসিসি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবের সঙ্গে দরবার করেও মেলেনি বরাদ্দকৃত অর্থ। আর এই নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। উল্লেখ্য, বর্তমানে এনসিসি-র জন্য খরচের মাত্র ২৫ শতাংশ বহন করে রাজ্য সরকার।
এনসিসি কর্তাদের দাবি, টাকার অভাবে ক্যাম্পের আয়োজন করা যাচ্ছে না। ক্যাম্প না হওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন ক্যাডেটরা। ফান্ড না আসা পর্যন্ত নতুন করে ক্যাডেট না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এন সি সি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে বিষয়টি জানিয়েছেন এনসিসির ডিজি। দু’বছর বন্ধ ফান্ড, বকেয়া প্রায় ১০ কোটি, দাবি এনসিসি-র। এখানেই শেষ নয় চলতি বছরে এনসিসি-র বি এবং সি সার্টিফিকেটের জন্য পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু সেই পরীক্ষায় বাংলার ক্যাডেটরা বসতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সেনা। ফলে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ৫০ হাজার ক্যাডেটের ভবিষ্যত।
রাজ্যের এনসিসি ক্যাডেটদের জন্য এই ক্যাম্পগুলি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে জানিয়েছেন ভারতীয় সেনার এক শীর্ষ আধিকারিক। তিনি জানান, এই ঘটনা মোটেও ভালো খবর নয়। কারণ বাংলার ছেলে মেয়েরা যদি পরীক্ষা দিতে না পারেন তাহলে তারা ভারতীয় সেনায় সরাসরি যোগদান করার সুযোগ হারাবেন। অন্যদিকে বি এবং সি দুটো সার্টিফিকেটের জন্যই ক্যাম্পে যোগদান ভীষণ জরুরি। আর সে কারণেই এই ক্যাম্প আয়োজন করতে না পারা বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খারাপ খবর। যদিও এই নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উৎসবের মরশুম হওয়ায় এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্ন বন্ধ। নবান্ন খুললেই এই নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে।
