এনসিসিকে তাদের প্রাপ্য বরাদ্দ না দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছিল এনসিসি কর্তৃপক্ষ। তারা দাবি করেছিলেন রাজ্য তাদের বরাদ্দকৃত অর্থ না দেওয়ায় ক্যাম্প আয়োজন করা যাচ্ছে না। এর ফলে পরীক্ষায় বসতে পারবেন না এনসিসি ক্যাডেটরা। আর তা নিয়ে তোলপাড় হতে শুরু করে রাজ্য রাজনীতি। যেহেতু এই মুহূর্তে নবান্ন বন্ধ রয়েছে রাজ্য সরকারের সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্য টাকা বন্ধ করেনি, কেন্দ্র কোন কোন ক্ষেত্রে টাকা দিচ্ছে না, সেটাতে নজর দেওয়া জরুরি।অক্টোবরেই মাসেই ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।পরবর্তী ফান্ডও দেওয়া হবে। অতএব অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। তিনি আরো বলেন, সেনার তরফ থেকে রাজ্যের বরাদ্দ করা অর্থের হিসেব রাজ্যকে দেওয়া হয়নি। এই হিসেব রাজ্যকে পাঠালেই বরাদ্দ দেওয়া হবে। মন্ত্রীর কথায়, যাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে, তাদেরও একটা হিসেব দিতে হয়। হিসেব দিলে সেই মতো সমস্ত টাকাই দিয়ে দেওয়া হবে।
যদিও রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছেন,চলতি মাসেও এনসিসি’কে টাকা দিয়েছে রাজ্য। অতএব অহেতুক এটাকে ইস্যু করা হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল, এই প্রসঙ্গে শাসকদলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা শান্তনু সেন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত রাজ্যের পাওনা মিটিয়ে দেওয়া। দীর্ঘদিন যাবত রাজ্যের ১০০ দিনের কাজ করে টাকা পাচ্ছে না বহু শ্রমজীবী মানুষ। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা টাকা আটকে দেওয়ার ফলে বহু মানুষ তাদের মাথার উপর ছাদ পাচ্ছেন না। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে কেন্দ্রের উচিৎ রাজ্যের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া।
