আগামী ৫ নভেম্বর নবান্নে মুখোমুখি মমতা-অমিত শাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গরু থেকে কয়লাপাচার এবং নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অতি সক্রিয়তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে বাংলার মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণের পিছনে মোদি মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তির অদৃশ্য হাত দেখেছিলেন তিনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বনাম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্পর্কের তিক্ততা যতই থাকুক না কেন, প্রশাসনিক বৈঠকে তার রেশ পড়ছে না। আগামী ৫ নভেম্বর নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে হাজির থাকছেন দুজনেই। যদিও বৈঠকে হাজির থাকলেও আলাদা করে কোনও বৈঠকে বসছেন না তাঁরা। বুধবার নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অতিসক্রিয়তা নিয়ে সরব হবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
৫ নভেম্বরের বৈঠকে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির আইনশৃঙ্খলা সমস্যার পাশাপাশি জঙ্গি ও নকশাল ত‍ৎপরতা নিয়ে যেমন আলোচনা হবে, তেমনই আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার থেকে শুরু করে গরু পাচার নিয়েও আলোচনার কথা। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও সিকিম-এই পাঁচ রাজ্য নিয়ে গঠিত পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদ। পাঁচ রাজ্যের চারটিতেই বর্তমানে বিজেপি বিরোধী সরকার। পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে। যদিও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের যোগদান নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। চার বছর আগে ২০১৮ সালে নবান্নে শেষবারের মতো পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকে পৌরাহিত্য করেছিলেন ত‍ৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
৫ নভেম্বরের পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে যোগ দিলেও আজ বৃহস্পতিবার থেকে হরিয়ানার সুরজকুণ্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বৈঠক। ওই বৈঠকে সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের ডিজির থাকার কথা। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে মমতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যদিও ভাইফোঁটার কারণে ওই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা ও রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে পাঠাচ্ছেন।
অন্যদিকে সোমবারই কালীপুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল লা গনেশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধারণ জীবনযাপনে অভিভূত তিনি। তাই নিজের দাদার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে চেন্নাইতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ২ নভেম্বর চেন্নাই যাচ্ছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পরের দিন জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাতেই ফিরবেন কলকাতায়।