রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বিভিন্ন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে ডেঙ্গু মোকাবিলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। উৎসবের মরসুমের শুরু থেকেই রাজ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে শুরু করেছে। গত সাত মাসে ৩৮ হাজার ৮১৫ জন এডিস মশা বাহিত জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ২২ হাজার জন শহরাঞ্চলের। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং ডেঙ্গি সংক্রমণ ক্রমশই লাগামছাড়া হয়ে উঠছে। শনিবার ছুটির দিন থাকা সত্বেও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা। চলতি অর্থ বর্ষে কোন জেলায় কতজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তার পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, কেন একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া সত্বেও ডেঙ্গু সংক্রমণ রোখা যাচ্ছে না তা জানতে চান মুখ্যসচিব। নজরদারিতে কোথাও গাফিলিতি রয়েছে বলে ক্ষোভও প্রকাশ করেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, নজরদারির উপরে জোর দেওয়া হোক। আশা ও স্বাস্থ্য কর্মীদের বাড়ি-বাড়ি পাঠিয়ে খোঁজখবর নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। শুধু জেলাতেই নন, কলকাতায়ও নজরদারি বাড়ানোর জন্য পুর কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ কলকাতাতে বাড়তি নজরদারি চালাতে বলেছেন মুখ্যসচিব। সেই সঙ্গে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক প্রচারের উপরেও জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
