ঘৃণামূলক বক্তব্যের জন্য উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আজম খানের ৩ বছর জেল। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে উত্তরপ্রদেশের রামপুর আদালত। তবে বিভিন্ন নেতাদের বক্তৃতায় আমরা হামেশাই শুনতে পাই ঘৃণার উদ্রেক। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বহুবার তিরস্কার ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ঘৃণাত্মক বক্তব্যের বিষয়টি এখন সবজায়গায় আবার আলোড়ন তৈরি করেছে, এর কারণ সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের ঘৃণাত্মক বক্তব্যের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া। ঘৃণাত্মক বক্তব্যের ঘটনা আগুনের মতো বাড়ছে, কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার খুবই কম। এনসিআরবি-র চমকপ্রদ পরিসংখ্যান। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (NCRB) সাম্প্রতিক রিপোর্টে ঘৃণাত্মক বক্তব্য নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সাত বছরে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের সর্বোচ্চ সংখ্যক মামলা নথিভুক্ত হয়েছে ভারতে। রেকর্ড ৫০০% বৃদ্ধি পেয়েছে। এনসিআরবি তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সালে ঘৃণামূলক বক্তব্যের ৩২৩টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। যা ২০২০ সালে বেড়ে ১৮০৪-এ দাঁড়িয়েছে। এই ছিল ঘৃণামূলক বক্তব্যের সবচেয়ে বেশি ঘটনা। এগুলো থানায় নথিভুক্ত মামলা, অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ পুলিশের কাছেই পৌঁছায় না। এই ধরণের মামলায় সবচেয়ে বেশি অভিযোগের তীর রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR)-এর ২০১৮ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল দেশের ৫৮ জন বিধায়ক এবং সাংসদ স্বীকার করেছেন যে তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্যের মামলা রয়েছে। এই দোষে বিজেপি নেতারা সবচেয়ে বেশি দুষ্ট।
