উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর কারাগারে বন্দি থেকে রামপুর বিধানসভা আসন থেকে ৫৫ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হওয়া মহম্মদ আজম খানের বিধানসভা সদস্যপদ মাত্র ১৫৪ দিনে চলে গেল। উসকানিমূলক বক্তব্যের মামলায় আজম খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজম খান দশম বার রামপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জিতেছিলেন।
২০১৯ সালে সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আজম খানের বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ অনেকগুলো গুরুতর অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ কিছু মামলার চার্জশিট দিয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আজম খান, ডা. তাজিন ফাতিমা এবং আবদুল্লাহ আজম খানের বিরুদ্ধে সমন জারি করার পরেও আদালতে হাজির না হওয়ার জন্য, ৮২ ধারার অধীনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি নোটিশ জারি করা হয়েছিল। এর পরে আজম খান, তার স্ত্রী ডা. তাজিন ফাতিমা এবং ছেলে আবদুল্লাহ আজম ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তিনজনকেই জেলহাজতে পাঠিয়ে দিয়েছিল। প্রশাসনিক কারণে তিনজনকেই সীতাপুর কারাগারে স্থানান্তর করে জেলা প্রশাসন। এ সময়ে বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়। আজম খানের ছেলে আবদুল্লাহ আজম ও তার স্ত্রী ডা. তাজিন ফাতিমা জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হলেও আজম খান জামিন পাননি। এমতাবস্থায় আজম খান সীতাপুর জেল থেকে রামপুর সিটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দশম বারের মতো ৫৫ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হন। বৃহস্পতিবার সাংসদ-বিধায়ক আদালত তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৬ হাজার টাকা জরিমানা করে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে শুক্রবার বিধানসভা সচিবালয় ব্যবস্থা নেয় এবং আজম খানের বিধানসভা সদস্যপদ বাতিল করে দেয়। আজম খান মাত্র পাঁচ মাস চার দিন দশম বার রামপুর সিটি বিধানসভা থেকে বিধায়ক থাকতে পারলেন। ২০১৯ সালে আজম খান রামপুর আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন, তবে তিনি দিল্লির পরিবর্তে লক্ষনৌয়ের রাজনীতিকে পছন্দ করেছিলেন। তাই তিনি বিধানসভা নির্বাচনে দশমবারের মতো রামপুর সিটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জেলে থাকা অবস্থায়ই নির্বাচনে জয়ী হন। বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি লোকসভার সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেন।
