গল্প হলেও সত্যি! একবার নয় একইজীবনে ৮৭ বার বিয়ে করার পরও ক্ষান্ত হননি। এবার ৮৮তম বিয়ের সম্পর্কে বাঁধা পড়তে চলেছেন ৬১ বছর বয়সী বৃদ্ধ। পাত্রী হলেন তারই ৮৬তম স্ত্রী। ঘটনাটি ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) । ওই ব্যক্তিকে একরকম বিয়েপাগলই বলা যেতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ‘প্লে বয় কিং’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ওই ব্যক্তিকে এতবার বিয়ের করার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অভিমানী হয়ে তিনি জানিয়েছেন, ১৪ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে করেছিলেন তিনি। পাত্রী তাঁর থেকে দু’বছরের বড় ছিল। সুখে সংসার করবেন ঠিক করেছিলেন। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি! বিয়ের দু-বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিচ্ছেদ চাইলেন প্রথম স্ত্রী। মনের দুঃখে স্ত্রীকে ডিভোর্সও দিয়ে দেন তিনি। এই ঘটনার পর তিনি বোঝার চেষ্টা করেন, ঠিক কেন তাঁর বিয়েটা ভাঙল। আর এর জন্য নিজের ব্যবহারকেই দায়ী করেন তিনি। যদিও তিনি খোলসা করে বলেননি স্ত্রীর সঙ্গে ঠিক কী ব্যবহার করেছিলেন বা তাঁর ঠিক কেমন মনোভাব ছিল, যাতে বিরক্ত হয়ে চলে গেলেন স্ত্রী। সে সব গোপন কথা আর বাইরে বলেননি। তবে নিজে বুঝেছিলেন। এরপর তিনি জীবনের নতুন দিশা খুঁজে পান। যাতে বহু নারী তাঁর প্রেমে পড়ে তারই পাঠ নিতে শুরু করেন নানা সূত্রে। তারপর জীবনে এলেন একের পর এক নারী! কিন্তু কেউই বেশিদিন তাঁর সঙ্গে থাকতে পারেননি। তিনিও কারও আবেগ নিয়ে খেলতে চাননি। তাঁর কথা, সম্পর্কে থেকে অনৈতিক কাজ করার থেকে বিচ্ছেদ ও পুনরায় বিয়ে করাই ভালো। ফলে তাঁর বিয়ের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। যার পরিণতি এই ৮৮তম বিয়ে। নিজের ৮৬তম প্রাক্তন স্ত্রীকেই এবার বিয়ে করতে চলেছেন ‘প্লেবয় কিং’। তাঁর কথায়, বিচ্ছেদ হলেও তাঁদের মধ্যে ভালবাসা ছিল অটুট। আর তাই ফের কাছকাছি আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
