কংগ্রেস, টিএমসিকে নীতীশ কুমারের ‘মহাগঠবন্ধনে’ যোগ দেওয়ার আহ্বান বদরুদ্দিন আজমলের

গুয়াহাটি ৫নভেম্বর: এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বের ‘মহাগঠবন্ধন’কে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে পরাজিত করতে বিরোধী ‘মহাগঠবন্ধন’এ যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অসমের ধুবরি আসনের লোকসভা সাংসদ আজমল বলেছেন, নীতীশকুমার এবং ‘মহাগঠবন্ধন’-এর নেতারা আগামী মাসে অসম সফর করবেন ‘মহাগঠবন্ধন’ সম্প্রসারণের সম্ভাবনাগুলি অন্বেষণ করতে। কংগ্রেস বিহারে ‘মহাগঠবন্ধন’-এর একটি অংশ৷এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমি আশা করি কংগ্রেস (অসমে) এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘মহাগঠবন্ধনে’ যোগ দেবেন। আমাদের সাধারণ শত্রু হল বিজেপি এবং একসঙ্গে আমরা ২০২৪ সালে তাদের পরাজিত করতে সক্ষম হব।”
আজমল তাদের “সাধারণ শত্রু বিজেপি” কে পরাজিত করার জন্য অসমে পঞ্চায়েত এবং আগামী লোকসভা নির্বাচনে তার প্রাক্তন মিত্র কংগ্রেসের সঙ্গে আবার জোট গঠনের চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন, “ঐক্যবদ্ধ না হলে আমরা বিজেপিকে হারাতে পারব না। সুতরাং, আসুন বিজেপিকে পরাজিত করার জন্য আমরা আবার হাত মেলায়।”
আজমলের প্রস্তাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অসম কংগ্রেসের সভাপতি ভুপেন কুমার বোরাহ বলেছেন, ভবিষ্যতে আর আমাদের ও এআইইউডিএফের মধ্যে এ ধরনের কোন জোট হবে না।
ভুপেন কুমার বোরাহ বলেন, “আমরা সবসময় বলে আসছি যে এআইইউডিএফ বিজেপির মতোই সমান সাম্প্রদায়িক। আমরা ধুবরীর জনগণের সঙ্গে একটি জোট গঠন করব, তবে কোন ব্যবসায়ীর সঙ্গে নয়।” এ প্রসঙ্গে তিনি আজমলের পারফিউম ব্যবসার কথা উল্লেখ করেন।

মজার বিষয় হল, কংগ্রেস ১ নভেম্বর অসমে ‘ভারত জোড় যাত্রা’ শুরু করেছিল ধুবরি জেলা থেকে যেখানে আজমলের বাড়ি। আগামী ৭০ দিনের মধ্যে ৮৩৪ কিলোমিটার কভার করার পরিকল্পনা করেছে।
বোরাহ আরও বলেছেন, “যদি কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফের মধ্যে জোট হয় তবে আমি রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি হব না।”
২০২১ সালে অসম বিধানসভা নির্বাচনের আগে, কংগ্রেস এআইইউডিএফ,বিপিএফ,সিপিআইএম,সিপিআই, সিপিএআইএমএল, আঞ্চলিক গণ মোর্চা, আরজেডি, আদিবাসী ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে একটি ‘মহাজোট’ গঠন করেছিল। পরাজয়ের পর গত বছরের আগস্টে এআইইউডিএফ-এর সঙ্গে জোট ভেঙে দেয় কংগ্রেস।
রাজ্য কংগ্রেসের মূল কমিটিও বোডোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (বিপিএফ) এর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যখন সিপিআই(এম) বলেছে যে তারা কেবল কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি ব্যবস্থা করেছে এবং তবে তা কোনও জোটের অংশ নয়।