চেন্নাই,১০ নভেম্বর: কোয়েম্বাটুর গাড়ি বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে তামিলনাড়ুর ৪৫টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তামিলনাড়ুর ৪৫টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালান এনআইএ আধিকারিকরা। এই ৪৫টি ঠিকানার মধ্যে রয়েছে কোয়েম্বাটুরের জি এম নগর ও এইচ এম পি আর স্ট্রিটও।
চলতি বছরের ২৩ অক্টোবর কোয়েম্বাটুরে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। একটি গাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। ২৩ অক্টোবর ভোররাতের ওই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় একজনের। তামিলনাড়ুর পুলিশের সমন্বয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তামিলনাড়ুর ৪৫টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালান এনআইএ গোয়েন্দারা। কোট্টামেদু, পোনভিঝা নগর, রথিনাপুরী ও উক্কাদাম প্রভৃতি এলাকায় সন্দেহভাজনদের ঠিকানায় তল্লাশি চালানো হয়।
কোয়েম্বাটোরে চলন্ত গাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণে নিহত হয় জেমিশা মুবিন নামে এক যুবক। ওই যুবকের মৃত্যুর পিছনে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী-যোগ সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে এনআইএ। তামিলনাড়ুর ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ সি. সিলেন্দ্র বাবু এই ঘটনার পিছনে জঙ্গি-যোগ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। তথ্য অনুসারে, এনআইএ কোয়েম্বাটোরের উদাক্কাম, কোট্টমেডু, পনভিঝা নগর এবং রথিনাপুরিতে অভিযান চালায়, পাশাপাশি চেন্নাইয়েরও একাধিক জায়গায় অভিযান চালানো হয়। এই মামলায় মন্দিরের পুরোহিত সুন্দরেশানকেও জেরা করে এনআইএ। বিস্ফোরণে ২৯ বছর বয়সী ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক জামিশা মুবিন নিহত হন। পুলিশ জানিয়েছে মুবিনের বাড়ি থেকে চারটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে একাধিক বিতর্কিত বিষয়ের উল্লেখ ছিল। এছাড়াও তাঁর বাড়ি থেকে মিলেছে কিছু আইএসআইয়ের যোগসূত্রের ইঙ্গিত।
পুলিশের তদন্তে ৭৫ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেশীয় বোমা তৈরিতে এই উপাদান ব্যবহার করা হয় বলে জানান হয়। পুলিশ বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে ইতিমধ্যেই এই মামলায় ৬জনকে গ্রেফতার করেছে।
