নতুন করে খেরসনের দখল নিল ইউক্রেন,রাস্তায় নেমে উচ্ছ্বাস শহরবাসীর

ইউক্রেনের খেরসন থেকে রাশিয়ার সেনাবাহিনী পিছু হঠার পর আবার এই শহরের দখল নিল ইউক্রেনের সশস্ত্রবাহিনী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই ক্রেমলিনের উপর সবচেয়ে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এই খেরসন শহরটিই ছিল একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী যা রাশিয়া দখল করে নিয়েছিল।বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, গত বুধবারই মস্কো ঘোষণা করেছিল যে অব্যাহত ইউক্রেনীয় আক্রমণের মুখে খেরসন থেকে রুশ সৈন্যদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী নতুন করে দখল নেওয়ার পর ১০ মাস ধরে রুশ সেনাবাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া খেরসনবাসীদের শুক্রবার শহরের রাস্তায় নেমে উচ্ছ্বাস করতে দেখা গিয়েছে। ইউক্রেন সেনাদের আলিঙ্গন এবং তাঁদের সঙ্গে নিজস্বী তুলে উল্লাস করতে দেখা যায় খেরসনবাসীদের। শহরের বিভিন্ন বাড়িতে ইউক্রেনের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর প্রথম দিকেই এই বন্দর শহরের দখল নেয় রুশবাহিনী। ইউক্রেনের উপর ক্রমাগত চাপ বৃদ্ধির জন্যও রাশিয়ার এই শহরের উপর দখল রাখা প্রয়োজনীয় ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ইউক্রেন সেনার ধারাবাহিক হামলার মুখে খেরসন অঞ্চলে ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় রাশিয়া। খেরসন ছাড়া আশপাশের এলাকাগুলি থেকেও পিছু হটেছে রুশ সেনা। আর এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উল্লাসে মাততে দেখা গেল খেরসনকে। গত ১০ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির অনুগত বাহিনীর প্রত্যাঘাতে খেরসনের বিস্তীর্ণ এলাকা রুশ ফৌজের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। আর তাই নতুন করে আশা বাধছে ইউক্রেনেবাসীরা।এই সেনা প্রত্যাহার রাশিয়া এবং ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য একটি বড় আঘাত এবং ইউক্রেনের জন্য এক বড় বিজয়।খেরসন শহরের অবস্থা এখন কেমন তা ঠিক স্পষ্ট নয়, তবে সামাজিক মাধ্যমে সেখানকার বাসিন্দাদের জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে তোলা ফটো দেখা যাচ্ছে।