রাজ্যপালকে নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সঙ্ঘ নেতৃত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির কটূক্তি নিয়ে নালিশ জানানোর জন্য সময় চেয়েও সাক্ষাতের অনুমতি না পাওয়ায় সোমবার রাজ্যপাল লা গনেশনকে কটাক্ষের পথে হেঁটেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মানসপুত্রের এমন আচরণে বেজায় চটেছেন রাজ্যের সঙ্ঘ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজ্যপালকে নিয়ে যে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু, তার ক্লিপিংস নাগপুরে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিরোধী দলনেতার এমন অশোভন আচরণ যে বরদাস্ত করা হবে না, বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
জগদীপ ধনকর রাজ্যপাল থাকাকালীন বিরোধী দলনেতার কাছে অবারিত দ্বার ছিল রাজভবন। কথায়-কথায় ছুটে যেতেন রাজভবনে। ঘটা করে ছবি তুলে সংবাদমাধ্যমে ভেসে ছিলেন। কিন্তু অস্থায়ী রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে আসার পরে রাজভবনকে রাজনৈতিক ছোঁয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লা গনেশন। রাজ্যপাল হওয়ার আগে দীর্ঘদিন সঙ্ঘের প্রচারক হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন। নিয়মানুবর্তিতা আর শিষ্টাচারকে বরাবরই প্রধান্য দিয়ে এসেছেন। আর সেই নিয়মানুবর্তিতা পালন করতে গিয়েই তাঁকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
সোমবার সন্ধেয় সংবাদমাধ্যমের দৌলতে রাজ্যপালকে শুভেন্দুর কটাক্ষের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় রাজ্যের সঙ্ঘ নেতৃত্বের। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সঙ্ঘের দক্ষিণবঙ্গের পদাধিকারীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সঙ্ঘের এক পদাধিকারীর কথায়, ‘শুভেন্দু অধিকারী হয়তো ভেবে নিয়েছেন, রাজ্যপালের চেয়েও তিনি বেশি ক্ষমতাশালী। নিজের যোগ্যতা আর ক্ষমতা সম্পর্কে ভুল ধারনা থেকেই লা গনেশনের মতো প্রবীণ সঙ্ঘ প্রচারককে কটাক্ষ করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। উনি ভুলে গিয়েছেন, গনেশন ওঁর মতো সুখের পাখি নন কিংবা রাজনৈতিক সুবিধাবাদী নন। নিজের যোগ্যতায় সাংবিধানিক পদ পেয়েছেন। এই ধরনের অশোভন আচরণের জন্যই বাংলার মানুষ বিধানসভা ভোটে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। সঙ্ঘের একজন প্রবীন প্রচারককে বিরোধী দলনেতার আক্রমণ কিংবা কটাক্ষ কোনও মতেই সঙ্ঘের বাকি প্রচারকরা মেনে নেবেন না। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ওঁকে সংযত না করলে পঞ্চায়েত ভোটেই এর ফল হাড়ে-হাড়ে টের পাবে।’