গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দল তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে শুরু করেছে। এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সাথে সাথেই শুরু হয়ে গিয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। প্রসঙ্গত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ইতিমধ্যেই গুজরাটের গেরুয়া শিবিরের ব্যাপক অশান্তি সামনে এসেছে। এমনকি টিকিট না পেয়ে একাধিক প্রাক্তন বিধায়ক নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন লড়বেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ভোটের প্রাক্কালে এহেন বিদ্রোহ মোটেই ভালো চোখে দেখছেনা গেরুয়া শিবির। বিজেপির পাশাপাশি এবার কংগ্রেসের অন্দরেও প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সাথে সাথেই শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র অশান্তি।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যে সোমবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ নিয়ে ক্ষোভের চোটে প্রদেশ দপ্তরের অফিসেই ভাঙচুর চালালো একদল কংগ্রেস কর্মী। প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবার পর দেখা যাচ্ছে, শহরের জামালপুর-খাদিয়া আসন থেকে বর্তমান বিধায়ক ইমরান খেদাওয়ালাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আর তারই প্রতিবাদে প্রদেশ সভাপতি ভরত সিংহ সোলাঙ্কির পোস্টার পুড়িয়ে দেয় একদল কংগ্রেস কর্মী। পরিস্থিতি সামাল দিতে কংগ্রেসের তরফ থেকে জোনভিত্তিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি লোকসভা ভিত্তিক একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিজেপির তরফ থেকেও দলীয় অশান্তির কারণে ইতিমধ্যেই একাধিক পর্যবেক্ষককে পাঠানো হয়েছে গুজরাটে। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার পাশাপাশি ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের জন্য গুজরাটকে চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফ থেকে। এবং গুজরাট দক্ষিণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুকুল ওয়াসনিককে, সৌরাষ্ট্রে মোহন প্রকাশ, মধ্য জোনে পৃথ্বীরাজ চৌহান এবং উত্তর জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিকে হরিপ্রসাদকে। এছাড়াও রাজ্যের ৩২ টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেস এবং বিজেপির অন্দরের এই ঝামেলার সুবিধা নিচ্ছে আপ। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন জিততে মরিয়া তাঁরা। আপাতত দেখার, গুজরাটের ভোটে কারা বাজিমাত করতে পারে।
