প্রেমে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে প্রেমিকার গলা কেটে খুন করল প্রেমিক! এমনকি, খুনের পর ভিডিও পোস্ট করে পুলিশকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিযুক্ত বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেপ্তার করুন।’ দিল্লির তরুণীর নৃশংস খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এমন ঘটনায় হতবাক গোটা দেশ। এবার ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম শিল্পা জারিয়া (২৫)। জব্বলপুরের মেখলা রিসর্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে শিল্পার নলিকাটা দেহ। পরপর বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে অভিযুক্ত অভিজিৎ পাতিদার। তারমধ্যে একটিতে সে বলছে, ‘বিশ্বাসঘাতকতা বরদাস্ত নয়।’ তারপরই কম্বলের নীচ থেকে শিল্পার নলিকাটা দেহটি দেখায় সে। এরপরই আবার একটি ভিডিওতে সে বলেছে, ‘আমাদের আবার দেখা হবে স্বর্গে।’আরও একটি ভিডিওতে নিজের নাম প্রকাশ করে অভিজিৎ। সেখানে সে দাবি করে, পটনার একজন ব্যবসায়ী সে। তার ব্যবসার সঙ্গী জিতেন্দ্র কুমারের সঙ্গে শিল্পার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে জিতেন্দ্রর কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে জবলপুরে পালিয়ে এসেছিল শিল্পা। জিতেন্দ্রর নির্দেশেই তাই জবলপুরে এসে শিল্পাকে খুন করেছে অভিজিৎ। ইতিমধ্যেই জিতেন্দ্র এবং তার ঘনিষ্ঠ সুমিত পটেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত অভিজিতের খোঁজে চারটি বিশেষ দল গঠন করে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাটে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জবলপুর পুলিশের এসএসপি প্রিয়ঙ্কা শুক্ল। এসএসপি জানিয়েছেন, এক মাস ধরে জিতেন্দ্রর বাড়িতে থাকত অভিজিৎ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গত ৬ নভেম্বর মেখলা রিসর্টে একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিল অভিজিৎ। রাতে একাই ছিল সে। পরদিন বিকেলে এক মহিলা আসে সেখানে এবং তারা দু’জনে খাবারের অর্ডার দেয়। এক ঘণ্টা পর হোটেলের ঘরের দরজা বন্ধ করে অভিজিৎ বেরিয়ে যায়। ৮ নভেম্বর হোটেলের দরজা ভেঙে শিল্পার নলিকাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
