আমি বিজেপিতে (BJP) যাওয়ার আগেও গালাগালি করতেন। আর যাওয়ার পরে একেবারে লাইসেন্স নিয়ে যত কুকথা রয়েছে তিনি আমার সম্পর্কে,আমার পরিবার ও পিতৃদেব সম্পর্কে সবই বলছেন।’ পূর্ব মেদিনীপুরের (purba medinipur) রামনগরের জনসভা (meeting) থেকে নাম না করে বিধায়ক অখিল গিরিকে (akhil giri) তীব্র আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari)। এর পরেই বলেন, ‘যেমন ঝাড় তেমন বাঁশ হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) ঝাড়ে ওই বাঁশই হয়।’রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে অখিল গিরির ‘কুমন্তব্যের’ প্রতিবাদেই এদিনের সভা করেন বিরোধী দলনেতা। তীক্ষ্ণ কটাক্ষ ধেয়ে আসে তৃণমূলনেত্রীর দিকে। অভিযোগ যে ভাষায় তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে আক্রমণকরা হয়েছে তার দুটি কারণ ছিল। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূলনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, কিম্ভূতকিমাকার, কোমরে দড়ি পরাব। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হোঁদল কুঁতকুঁত বলেছিলেন।’ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর যে ‘চাড্ডা, নাড্ডা, হাড্ডা, গাড্ডা’ মন্তব্য এসেছিল সে কথাও মনে করান শুভেন্দু। তাঁর ব্যাখ্যা, শিক্ষাদীক্ষা ও সংস্কৃতিই ঠিক করে দেয় কতটা পরিশীলিত ভাষা উচ্চারিত হবে আর হবে না। শুভেন্দুর দাবি, গোটা দেশের কাছে পশ্চিমবঙ্গের মাথা নিচু করে দিয়েছেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক। তবে স্রেফ এই আক্রমণেই থামেননি তিনি। সব কিছু ফাঁস করে দেওয়ার হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের ভিতরে থাকা ৮০ ভাগ লোকআমাকে সাহায্য করছেন।…পিসি-ভাইপো মুক্ত বাংলা চাই। পঞ্চায়েত ভোট লুঠ করতে এলে প্রতিরোধ হবে তো? তাই তো বলি, চোর ধরো, জেল ভরো।’ পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডল, সকলের নামেই ‘চোর’ স্লোগান দেন তিনি। বাদ যায়নি পরেশ অধিকারীর নামও। ‘সব গুছিয়ে রাখছি। ভাইপো, তিহাড়ের দরজায় জেলে দেখা হবে’, বলেন এ কথাও। প্রসঙ্গত একই দিনে, শিলিগুড়ির সভা থেকেও তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে গর্জে ওঠেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
