ইনকিলাব বা জয় শ্রীরাম বললেই তাঁদের ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে রাখার নিদান তৃণমূল নেতার

যে সিপিএম সেই বিজেপি। রাম আর বাম মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। তাই ওরা বলবে না কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজের টাকা ও বাংলা আবাস যোজনার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাই যাঁরা ইনকিলাব জিন্দাবাদ বলবে বা জয় শ্রীরাম বলবে তাঁদের ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে রাখার নিদান দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপাত্র দেবু টুডু। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের(Burdwan) কালনা ২ ব্লকে সিঙ্গারকোনে এলাকায় অনুষ্ঠিত ক্ষেত মজদুর সমাবেশ থেকে এই নিদান তিনি দেন।এমন নিদান নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য গ্রাম বাংলার মানুষ আগামী দিনে তৃণমূলের নেতাদেরকেই গাছে বেঁধে রাখবে। বছর ঘুরলেই রাজ্যে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের বার্তা দিচ্ছেন। তা সত্ত্বেও অব্যাহত রয়েছে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে শাসক দলের নেতাদের হুমকি। বিরোধী দলের নেতারা বলছেন, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, কেন জায়গাতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে না তা শাসক দলের নেতাদের হুমকি থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খেত মজুর সমাবেশে বক্তব্য রাখতে উঠে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু আগাগোড়াই বিজেপি ও সিপিএমের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তিনি বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলাকে একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে। বাংলা আবাস যোজনার টাকাও দিচ্ছে না। এইভাবে ওরা বর্ধমান জেলা সহ সারা বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। অথচ এইসব নিয়ে সিপিএম ও বিজেপির নেতারা কোন কথা বলছে না। আসলে যে সিপিএম সেই বিজেপি। রাম আর বাম মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। তাই বলছি, “যাঁরা ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ বলবে, যারা ‘জয় শ্রীরাম’ বলবে তাঁদের পাড়ায় ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে রাখুন। বলুন, যে টাকা দিতে হবে। তারপর তোমরা জয়শ্রীরাম, ইনকিলাব জিন্দাবাদ বলবে।” খেত মজুর সমাবেশে উপস্থিত গরিব মানুষ ও আদিবাসীদের এদিন সশস্ত্র আন্দোলনে নামারও ডাক দেন দেবু টুড। আদিবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের তীরধনুক আছে, লাঠি আছে, অস্ত্র আছে, আমাদের আন্দোলন করতে হবে। লড়াই করে করেই আমাদের বাঁচতে হবে। ভিক্ষা চেয়ে নয়, অধিকার ছিনিয়ে নিতে হবে’।