গোর্খা জনমূর্তি মোর্চা এবং বিমল গুরুং চ্যাপ্টার এখন ক্লোজড। রাজনৈতিক দলে আর ভরসা নেই। ফলে নিজের পৃথক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে Pan India ইন্ডিয়া জুড়ে সমস্ত গোর্খা জনজাতির মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এক ছাতার তলায় আনতে প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বিশাল ছেত্রী। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিমল গুরুং-এর অন্যতম ভরসার হাত। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সেন্ট্রাল কমিটির উচ্চপদেও। এমনকী মাইনরিটি সেলের গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন তিনি। কিন্তু গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে বিমল গুরুং পিছু হটায় নাখুশ বিশাল। শুধু বিমল নয় গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে কোনও পাহাড়ের রাজনৈতিক দলই সৎ নয়। পাশাপাশি ভরসা রাখতে পারছেন না। বিজেপির বিরুদ্ধেও তাঁর ক্ষোভ। বারবার ছেলে ভুলানো বাণী শুনিয়ে ভোট আদায় করলেও আদতে গোর্খা জনজাতির জন্য কোন কাজই করছে না ভারতীয় জনতা পার্টি বলে দাবি তাঁদের। এমনকী পাহাড়ে বা পাহাড়ের বাইরে সক্রিয় ভাবে তাদের সহায়তা করছে না তৃণমূলও। ফলে দলীয় রাজনীতি থেকে বেরিয়ে তিনি অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মকেই বেছে নিয়েছেন। ডিসেম্বরের জাতীয় সপ্তাহে দিল্লিতে একটি কেন্দ্রীয় সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। ১৮-১৯,২০ ডিসেম্বর সেই সম্মেলন হওয়ার কথা বলে বিশাল নিজেই জানিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ ও বিহারের বেশ কিছু অঞ্চল নিয়ে পৃথক কেন্দ্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আসলে বিজেপির ভুয়া টোপ বলে মনে করছেন বিশাল। তিনি বলেন, বিজেপি চায় গোটা ভারতবর্ষে একমাত্র তারাই থাকবে। ছোট ছোট দলগুলিকে গ্রাস করতে চাইছে তারা। তাদের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। পাশাপাশি আর যে দলগুলি রয়েছে তারাও গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে কেউই সচেষ্ট নন। ফলে তিনি সেই গুরুদায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে। আপাতত লক্ষ্য, যত বেশি সম্ভব গোর্খা জনজাতির মানুষকে তাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করা। তাদের সংগঠনের সব রকমের মানুষকে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকী দলীয় রাজনীতি পরিত্যাগ করে যদি বিমল গুরুং, বিনয় তামাং, অনিত থাপা কিংবা অজয় এডওয়ার্ডরা তার সঙ্গে যুক্ত হতে চান, তিনি তাদেরও স্বাগত জানাবেন। তবে আপাতত অরাজনৈতিক হলেও ভবিষ্যতে এই প্লাটফর্ম আলাদা করে নিজেদের অধিকার রক্ষায় সাংবিধানিক লড়াইয়ে নামবে কি না তা অবশ্য খোলসা করেননি বিশাল।
