শিলিগুড়ি মহকুমায় ছড়াচ্ছে লাম্পি ভাইরাস, আক্রান্ত বেশ কয়েকটি গোরু-ষাঁড়

লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হল বেশ কয়েকটি গোরু। মাটিগাড়া সহ শিলিগুড়ি মহকুমার বেশ কয়েকটি এলাকায় গোরুর শরীরে লাম্পি ভাইরাসের (Lumpy Virus) সংক্রমণ মিলেছে। মশা এবং মাছি হল এই ভাইরাসের বাহক বলছেন শহরের পশু চিকিৎসকরা। লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত গৃহপালিত গোরুগুলিকে কোয়ারেন্টাইন করা হলেও ছাড়া গোরুগুলির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি গোরুকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে শিলিগুড়ির এক পশুপ্রেমী সোহিনী গাঙ্গুলি। তিনিই অসুস্থ গোরুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে যানা যায় গোরুটি লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত। একইভাবে চম্পাসারি এলাকাতেও এক ব্যক্তির গোয়ালে দুটো গোরুর শরীরে লাম্পি ভাইরাসের খবর মেলে। মাটিগাড়া ব্লকের ভেটেনারি অফিসার ডাঃ চন্দন সাহা বলেন, “শুষ্ক মরশুমে মশা-মাছি দ্বারাই এই ভাইরাসটি ছড়ায়। এই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষার উপায় গোয়াল ঘর পরিষ্কার রাখা, যাতে মশা-মাছি না থাকে।”
পশুপ্রেমী মহাবীর আগারওয়াল বলেন, “লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত শহরের বেশ কয়েকটি ষাঁড়কে উদ্ধার করে দার্জিলিং মোড় এলাকায় একটি গোশালায় নিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তবে, এই ভাইরাস দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। আক্রান্ত গবাদিপশুগুলোকে আলাদা না করলে শহরের একটি গোরুও বাঁচবে না।” এই রোগ প্রসঙ্গে ব্লক প্রাণীসম্পদ বিকাশ আধিকারিক ডা: বাপন আরাস বলেন, “পরিকাঠামোর অভাবে আমরা কিছুই করতে পারছি না। তবে প্রতিটি ব্লকে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি এবং অবশই সুস্থ গোরুকে লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত গোরুর থেকে আলাদা রাখতে হবে। কোনও গোরু আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।”