নেপালের হাত থেকে দার্জিলিং চা-কে বাঁচাতে উদ্যোগী সরকার

নয়াদিল্লি: তীব্র সংকটে ঐতিহ্যশালী বিশ্বখ্যাত দার্জিলিং চা (Darjeeling Tea)। উত্তরবঙ্গে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন চা বাগান বন্ধ হয়ে পড়ছে। কারণ, দার্জিলিং চায়ের বিক্রি নেই। পাল্লা দিয়ে কমছে চাহিদা। সেই সুযোগে জায়গা দখল করে নিচ্ছে নেপালের সস্তা চা৷ তাই দার্জিলিং চায়ের সুরক্ষা প্রয়োজন। সদ্যসমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনের নেপালের সস্তা চায়ের দাপটে ক্রমে বন্ধ হয়ে যাওয়া দার্জিলিং চা এর রাজপাট উদ্ধারে নেমে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ এবং রাজ্যের প্রাক্তন আমলা জহর সরকারের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া পটেল জানান, দার্জিলিং চা দেশের গৌরবের সম্পদ, যার দুরাবস্থা নিয়ে ওয়াকিবহাল কেন্দ্রীয় সরকার ও তার হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারে সরকার উদ্যোগী।অনুপ্রিয়া জানিয়েছেন, দার্জিলিং চা সরকারের ট্রেড মার্ক সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে সুরক্ষিত ও ‘জি আই’ ট্যাগ প্রাপ্ত৷ তিনি এও জানান, কেন্দ্রীয় সমীক্ষা অনুযায়ী গত পাঁচ বছরে এই চা এর উৎপাদনেও এসেছে বৃদ্ধি। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে যেখানে দার্জিলিং চা এর উৎপাদন ৩.২৯ মিলিয়ন কেজি, ২০২১-২২ এ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.১৫ মিলিয়ন কেজি অর্থাৎ প্রায় ৭০ লক্ষ ১৫ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে দার্জিলিঙে। নেপাল থেকে আগত সস্তার চা-এর দাপট নিয়েও কেন্দ্র অবগত ও বাণিজ্য বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সুপারিশে নেওয়া হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যার মধ্যে, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে টি বোর্ডের তরফে ইস্যু করা জরুরি নির্দেশিকায় বলা হয়, সমস্ত চা ব্যবসায়ীদের তাদের আমদানি করা চায়ের যাবতীয় ঠিকুজিকোষ্ঠী উদ্ধৃত করতে হবে ও তা কখনই দেশীয় চা বলে বিক্রি করা যাবে না। সমস্ত ডিস্ট্রিবিউটর ও ব্লেন্ডার দের আমদানি করা চায়ের যাবতীয় তথ্য প্যাকেটে লিখে জানাতে হবে ও নতুন আমদানি করা চা দেশীয় বাজারে নিয়ে আসার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার যাবতীয় তথ্য নিকটবর্তী টি বোর্ডের শাখা দফতরে জানাতে হবে। একইসঙ্গে ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্থরিটি অফ ইন্ডিয়া ও ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনের যৌথ ক্লিয়ারেন্স নিয়েই তবে বাজারে আসতে পারে নেপাল বা অন্য কোনও দেশের চা। এছাড়াও দার্জিলিং চা কর্মীদের উৎপাদিত চায়ে বিশেষ ভর্তুকি দেওয়ার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্র।