নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোটের ঢাকে এখনও কাঠি পড়েনি। তার আগেই মেঘালয় বিধানসভা ভোটের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার প্রথম দফায় রাজ্যের ৬০ আসনের মধ্যে ৫২ আসনের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা দুই আসন থেকে লড়ছেন। দলের রাজ্য সভাপতি চার্লস পিনগ্রোপের পাশাপাশি কংগ্রেস থেকে আসা ১০ বিধায়কও ঘাসফুল প্রতীকে লড়াইয়ের ময়দানে থাকছেন। বাকি আট আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, ওই আসন স্থানীয় দলগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন।
লোকসভা ভোটের আগে উত্তর-পূর্বের অন্যতম রাজ্য মেঘালয়ের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের পক্ষ থেকে ওই রাজ্যে সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে। গত নভেম্বর মাসেই মেঘালয়ে তৃনমূল কংগ্রেসের রাজ্য দফতর খোলা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে সভা করে এসেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মেঘের দেশে দল ক্ষমতায় এলে মহিলাদের জন্য বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলে উই কার্ড চালু করা হবে বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি। প্রথম সভাতেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। আর ওই সাড়া দেখেই তিনি আশাবাদী মেঘালয়ে বিধানসভা ভোটের পর সরকার গঠনের ক্ষেত্রে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবেন ঘাসফুলের বিধায়করা। চলতি মাসের ১৭ তারিখ ফের তুরায় যাওয়ার কথা রয়েছে মমতা এবং অভিষেকের।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে ৫২ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাকে সোংসাক এবং তিকরিকিল্লা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। মেঘের দেশে দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখেই যে ঘাসফুল শিবির লড়তে চাইছে তার ইঙ্গিত মিলেছে। দলের রাজ্য সভাপতি চার্লস পিনগ্রোপ লড়ছেন নোঙ্গথিম্মাই আসন থেকে। কংগ্রেস ছেড়ে আসা জেনিথ এম সাংমা রঙ্গসোকোনা আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। সলমানপারায় দাঁড়াচ্ছেন আর এক কংগ্রেসত্যাগী বিধায়ক উইনারসন ডি সাংমা।
