নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই। বাংলার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অবস্থানও অনেকটা তেমন। আবাস যোজনায় টাকা বরাদ্দের নামগন্ধ নেই। উল্টে সঠিকভাবে যোজনার কাজ চলছে কিনা তার উপরে নজরদারি চালাতে নিয়মিত পালা করে পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় দল। জাতীয় পর্যায়ের নজরদারির নামে রাজ্যে আরও পাঁচটি কেন্দ্রীয় দলকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রক। ওই পাঁচটি দল দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, কালিম্পং, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, মালদা, মুর্শিদাবাদ সহ বেশ কয়েকটি জেলা পরিদর্শন করবে। আর্থিক বরাদ্দ আটকে দিয়ে বার বার রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহল ক্ষুব্ধ হলেও মোদি সরকারের প্রতিনিধিদের সব রকম সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গ্রাম বাংলার ভোট দরজায় কড়া নাড়তেই আবাস সহ নানা বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর দাবি জানিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত সপ্তাহেই রাজ্যে এসেছিল ছ’জন কেন্দ্রীয় আধিকারিকের প্রতিনিধি দল। দুটি দলে ভাগ হয়ে মালদা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গিয়েছিল। যদিও গরমিলের তেমন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
ওই দল ঘুরে যেতে না যেতেই আরও পাঁচটি দলকে রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রক। মূলত বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত পাঁচটি সংগঠনের আধিকারিকদের পাঠানো হচ্ছে। তার মধ্যে তিনটি সংগঠন উত্তরপ্রদেশের এবং বাকি দুটি দিল্লির। ওই পাঁচটি সংগঠন হল, লখনউয়ের অবধ রিসার্চ ফাউন্ডেশন, হরদোইয়ের বাবু রাম গ্রামোথান সংস্থান, এলাহাবাদের জিবি পন্থ সোশ্যাল সায়েন্স ইনস্টিটিউট, দিল্লির অপারেশন রিসার্চ গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেড এবং দিল্লির সেন্টার ফর লজিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। রাজ্যের ১০টি জেলায় গরমিলের অভিযোগ যাচাই ছাড়াও জেলাশাসক, জেলা পরিষদের মুখ্য প্রশাসনিক অফিসার (সিইও) এবং জেলা প্রশাসনের অন্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় দল।
