যোশীমঠ, ১৩ জানুয়ারি: বসে যেতে পারে পুরো যোশীমঠ, এমনই রিপোর্ট দিল ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা, ইসরো। ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১২ দিনে ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গেছে এই দেবভূমি। ইসরো’র ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (এনআরএসসি) যোশীমঠের উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে ভূমি ধসে যাওয়ার একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী যোশীমঠের পুরো শহরটাই ধীরে ধীরে বসে যেতে পারে।
উপগ্রহ চিত্রে সেনা হাসপাতাল ও নরসিমা মন্দিরকে স্পর্শকাতর জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। হায়দরাবাদভিত্তিক এনআরএসসি যোশীমঠের যে জায়গাগুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছে, উপগ্রহ চিত্রের সেই ছবিগুলি প্রকাশ করেছে।
ইসরোর প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরাখণ্ড সরকার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি থেকে জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালিয়ে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২২-এর এপ্রিল ও নভেম্বরের মধ্যবর্তী সময় থেকে যোশীমঠের শহর ধীরে ধীরে বসে যেতে শুরু করে। কিন্তু গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির ৮ তারিখ পর্যন্ত মাত্র ১২ দিনেই শহরের মাটি আরও বসে গেছে। সেইসঙ্গে ইসরোর ছবি থেকে ইঙ্গিত মিলেছে যে ভূমিধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যোশীমঠ-আউলি রোড। তবে ভূতত্ত্ববিদেরা বিস্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন এই ধসের আসল কারণ খুঁজে বের করার জন্য।
সেই উপগ্রহ চিত্র সামনে আসার মধ্যেই যোশীমঠের দুটি ‘অসুরক্ষিত’ হোটেল (হোটেল মালারি ইন এবং হোটেল মাউন্ট ভিউ) ভেঙে ফেলার কাজ চলছে। বিষয়টি নিয়ে উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা সচিব রঞ্জিত সিনহা জানিয়েছেন, রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এমনভাবে হোটেলগুলি ভেঙে ফেলা হবে যে আশপাশের কাঠামোয় কোনও ক্ষতি হবে না।
যোশীমঠের পর কর্ণপ্রয়াগ এবং তারপর তেহরি জেলার চম্বা জেলার বেশ কয়েকটি বাড়িতেও ফাটল দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার যখন যোশীমঠে ৭২৩টি বাড়িতে নতুন করে ফাটল দেখা যায়, সেই সময় চম্বার বেশ কয়েকটি বাড়িও নতুন করে ফাটতে শুরু করেছে বলে খবর।