রাজ্যে শান্তি ফেরাতে বিভিন্ন গণ সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, অন্যান্য ক্লাব ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ডাকতে চলেছে অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি অর্গানাইজেশন(AIMO).রাজ্য, বর্তমানে বিভিন্ন ইস্যুতে অশান্ত হয়ে রয়েছে বলে দাবি করেছেন আইমোর সর্বভারতীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির আহমেদ। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আইএসএফ এমএলএ নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তার ও তার প্রেক্ষিতে তাঁকে ছাড়ার দাবিতে রাজ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সমস্যা ও সংঘর্ষ নিয়ে অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি অর্গানাজেশন শান্তির আবেদন জানিয়েছেন। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে এই সময় পর্যটন মরশুম। দক্ষিণবঙ্গের অশান্তির আঁচ যাতে উত্তরবঙ্গে না পড়ে সে বিষয়ে বিশেষ সতর্ক নাসিরবাবু। তিনি জানিয়ে দেন, এই সময় পর্যটনের উপর বহু মানুষের রুটি-রুজি জড়িত রয়েছে। ফলে তা নষ্ট হওয়া মানে মানুষের পেটের ভাত কেড়ে নেওয়া। যা কোনও মতেই মেনে নেওয়া হবে না। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে যে কেউ আন্দোলন করতে পারেন। কিন্তু আইন হাতে তোলার অধিকার কারও নেই। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যে যেন কোনও গোলমাল না হয়, তা সুরক্ষিত করার দায়িত্ব প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন জন-প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলগুলির। এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গের মানুষদের কাছে স্বাস্থ্যের শান্তির আবেদন জানান তিনি। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন গণসংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে একটি বৈঠক শিলিগুড়িতে আহবান করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
এর আগে ভাঙ্গরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে সংযুক্ত মোর্চার তরফে প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করা হয়। মিছিলে শামিল সিপিএম ও আইএসএফ কর্মীরা। সিপিএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলির নেতৃত্বে সংযুক্ত মোর্চার মিছিল আয়োজিত হয়। ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তির দাবিতে ক্যানিংয়ের তালদি বয়ার সিং গ্রামে এই এস এফ এর মৌন মিছিল হয়। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির মুক্তির দাবিতে ভাঙড়ের বাগানআইটে এদিন মৌন মিছিল হয়। শুক্রবার কালো ব্যাচ পরে মিছিল করলেন এলাকার আইএসএফ কর্মীরা। বাগানআইট সহ ভাঙড় বাজার এলাকায় এই মিছিল করেন তারা। নওশাদ সিদ্দিকিকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আগামীদিনে এলাকা স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় মিছিলে অংশগ্রহণকারী আইএসএফ নেতারা। আলাদা করে প্রতিবাদে নামেন বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলা সংখ্যালঘু মোর্চাও। এই পরিস্থিতিতে আইন নিজেদের হাতে না নেওয়ার এবং শান্তি বজায় রাখতে পথে নামবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন নাসিরবাবু।
