ধর্ষণকাণ্ডে স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত

আহমেদাবাদ,৩১ জানুয়ারি

শিষ্যাকে ধর্ষণের অপরাধে স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল গান্ধিনগর আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে গান্ধিনগর আদালতের বিচারক ডি কে সোনি এক দশক আগের ধর্ষণ মামলার রায় দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘আসামী আসারাম বাপু যে জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছেন তার কোনও ক্ষমা হয় না। যে শাস্তিই দেওয়াই হোক না কেন, তা অপরাধের তুলনায় ভীষণ কম।’ বর্তমানে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্য একটি ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছে আসারাম বাপু। উল্লেখ্য যে, ১০ বছর আগে সুরাতের বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ করেন, মোতেরায় নিজের আশ্রমেই তাঁকে ধর্ষণ করেছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু। ধর্ষণের ক্ষেত্রে  স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে সাহায্য করেছেন তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী, ছেলে নারায়ণ সাঁই, মেয়ে ভারতী, চার শিষ্যা তথা অনুসারী ধ্রুববেন, নির্মলা, জাস্সি ও মীরা। তদন্তে নেমে ৭৭ বছর বয়সী ধর্মগুরুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসারামের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৫৪এ, ৩৭০ (৪), ৩৭৬, ৫০৬ ও ১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে শুধু গুজরাতেই নয়, ২০১৩ সালে রাজস্থানের যোধপুরেও ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আসারাম বাপুর বিরুদ্ধে। ওই মামলায় ২০১৩ সালের অগস্ট মাসে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করা হয় ধর্মগুরুকে। ২০১৮ সালে যোধপুর আদালত ওই ধর্ষণ মামলা আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলের সাজা শোনায়। এদিন গান্ধিনগর আদালতের দায়রা বিচারক ধর্ষণ মামলায় ৮২ বছর বয়সী ধর্মগুরু আসারাম বাপুকে ধর্ষণ, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় অভিযুক্ত করলেও তাঁর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করেছেন।
যদিও গান্ধিনগর আদালতের রায়ে খুশি নন আসারামের আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।