ভুয়ো শিক্ষকদের বেতন কীভাবে? জবাব চাইলেন বিচারপতি

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠে মুর্শিদাবাদের ভুয়ো শিক্ষক সংক্রান্ত মামলা। মুর্শিদাবাদের গোঠা এর আর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এবার এ সংক্রান্ত রিপোর্টও আদালতে পেশ করল সিআইডি। আশিস তিওয়ারিকে ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে হয় তাঁর। এদিন এইসব তথ্য হাইকোর্ট কে জানাল রাজ্য। শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসুর এজলাসে। এদিন রাজ্য আদালতে জানায়,এই মামলায় ৩৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আশিস তিওয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়’। আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেশ তিওয়ারি, যিনি আবার গোঠা হাইস্কুলে ভূগোল পড়াতেন, যাঁর নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন ওঠে, তিনি এখন পলাতক। এদিন বিচারপতি বসু  এজলাসে জানান ,প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির পক্ষে একা এই কাজ করা সম্ভব নয়। আরও অনেকে এই ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারেন’। বিচারপতি জানতে চান,’শেষ তিন-চার বছর ধরে কী করে বেতন পেলেন নথি জাল করে চাকরি পাওয়া অনিমেশ তিওয়ারি?এর জবাবে রাজ্য জানায়, -‘তদন্তে জানা গিয়েছে, জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে অনিমেশ তিওয়ারির জাল করা নথিগুলি সরিয়ে ফেলা হয়েছে’।
আগামী ১০ মার্চ পরবর্তী শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট কি নির্দেশ দেয়?