বেঙ্গালুরু ২৬ এপ্রিল:কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তার যিনি সম্প্রতি বিজেপি থেকে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বুধবার বলেছেন, ‘তিনি বুঝতে অক্ষম যে কেন তার মতো একজন সাধারণ নেতাকে টার্গেট করা হচ্ছে’।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস তার পরাজয় নিশ্চিত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন বলে জগদীশ শেত্তারের অভিযোগ ।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে জগদীশ শেত্তার যিনি হুবলি-ধারওয়াদ সেন্ট্রাল কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, বলেছেন: “আমি ‘খুব গরিব প্রার্থী। কিন্তু বিজেপি আমার পরাজয় নিশ্চিত করতে আমার বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে। অবশেষে ১০ মে জনগণের আদালতে রায় হবে।”
তিনি বলেন,“এক লিঙ্গায়ত নেতাকে রাজ্যে আরেক লিঙ্গায়ত নেতার বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হচ্ছে। অন্যের কাঁধ থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে। টিকিট বরাদ্দ ঘিরে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি অপরাধমূলক কাজে যুক্ত নতুন দলে আসা নেতাদের টিকিট দিয়েছেন।”
জগদীশ শেত্তার আরও বলেন,“হুবলি-ধারওয়াড় কেন্দ্র এখন রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্রীয় আসনে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হুবলি এসেছিলেন এবং জগদীশ শেত্তারকে পরাজিত করার ডাক দিয়েছেন।বিজেপি নেতা ইয়েদিউরপ্পা সিনিয়র নেতাদের একটি বৈঠক ডেকেছিলেন এবং যে কোনও মূল্যে তাকে পরাজিত করার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছেন।
শেত্তার বলেন,”কেন বিজেপি আমার পরাজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে আমি জানি না, আমি একজন নম্র সাধারণ মানুষমাত্র,বিজেপি থেকে বেরিয়ে যাওয়া আমিই একমাত্র ব্যক্তি নই। আমার মতো, আয়ানুরু মঞ্জুনাথ, লক্ষ্মণ সাভাদি, এন.আর. সন্তোষ এবং অনেকেই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সবাই আমাকে প্রশ্ন করছে যেন আমি কোন গুরুতর অপরাধ করে ফেলেছি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছিলেন যে তারা আমাকে রাজ্যসভার সদস্য করবেন। আমি এটাকে মূল্য না দিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। সরকার গঠনের জন্য যখন অপারেশন লোটাস চালানো হয়েছিল তখন দলের নীতি ও আদর্শ চলে গিয়েছে। আমার সম্পর্কে কথা বলার নৈতিক অধিকার বিজেপির নেই।”
