আরএসএস নেতার উপস্থিতিতে– দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ‘প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে’ ‘পঞ্চং ‘বা ধর্মীয় পঞ্জিকা প্রকাশ করছে

নয়দিল্লি ২৭ এপ্রিল:দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ২৮ এপ্রিল একটি ‘পঞ্চং’ বা ধর্মীয় পঞ্জিকা প্রকাশ করবে । যুবকদের প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে তা প্রকাশ করা হচ্ছে বলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ সিং, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, ছাত্র এবং গবেষক সহ সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রের বেশ কয়েকজনের উপস্থিতিতে পঞ্চাঙ্গটি প্রকাশ করবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর্বভারতীয় যোগাযোগ প্রধান রামলাল।দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তার শতবর্ষ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ‘ভারতীয় জ্ঞান ঐতিহ্য’ থিমের উপর আলোকপাত করে পঞ্চং প্রকাশ করছে বলে জানানো হয়েছে।যাতে থাকছে হিন্দু ধর্মের আচার,প্রথা পালনের দিনক্ষণ।

পঞ্চাঙ্গটি মূল্য সংযোজন কোর্স কমিটি প্রস্তুত করেছে ।ওই কমিটির সভাপতি নিরঞ্জন কুমার বলেন,“আমাদের পঞ্চং পশ্চিমা ক্যালেন্ডারের চেয়ে বেশি উন্নত। এটি আরও বিজ্ঞানসম্মত এবং তথ্যপূর্ণ। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্য সংযোজন কোর্স কমিটি এই বিষয়ে একটি নতুন ইতিহাস রচনার জন্য প্রস্তুত।এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে পঞ্চাঙ্গ আমাদের ঘর থেকে এবং যুবকদের মন থেকে হারিয়ে গেছে। এই পঞ্চাঙ্গের মাধ্যমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করার চেষ্টা করছে।
তার দাবি,“পশ্চিমী ক্যালেন্ডার শুধুমাত্র তারিখ এবং ছুটির সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করে। কিন্তু ভারতীয় পঞ্চাঙ্গে আমাদের সমস্ত উৎসব এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলির সঙ্গে সপ্তাহের দিন, ‘নক্ষত্র’, ‘করণ’, ‘যোগ’ ইত্যাদি রয়েছে।”

দিল্লি বিশ্ব অনুষ্ঠান চলাকালীন সকলের জন্য বিনামূল্যে পঞ্চাং প্রদান করা হবে।পঞ্জিকা প্রবর্তনকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করে নিরঞ্জন কুমার বলেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালযের ইতিহাসে এটি প্রথমবারের মতো ঘটছে যখন প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞানের প্রসারের জন্য তারা পঞ্চাঙ্গ প্রকাশ করছে।

তিনি বলেন, “পঞ্চাং হবে শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ ও প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য একটি কার্যকর পদক্ষেপ।”