‘আপ’-এর পাশে দাঁড়াবে কি কংগ্রেস? জল্পনা তুঙ্গে

নয়া সংসদ ভবন ‘বয়কট’ প্রসঙ্গ এখন অতীত। বিরোধী শিবিরে আবারও উঠে এসেছে ভাঙনের আভাস। বিভাজনের দুটি ভরকেন্দ্রে দাঁড়িয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি ও রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়গের কংগ্রেস। দিল্লি প্রশাসনিক শাসনভার নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্স-এর বিরুদ্ধে সংসদীয় পরিসরে সমর্থনের আশায় দেশের শতাব্দী প্রাচিন দল কংগ্রেসের দ্বারস্থ হন ‘আপ’ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এ নিয়ে আলোচনায় বসতে কংগ্রেস সভাপতি খড়গে ও প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন কেজরি৷ ‘আপ’ সুপ্রিমোর অনুরোধে সাড়া দেয়া আদৌ উচিত হবে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই সোমবার দিল্লি এবং পঞ্জাব কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন খড়গে-রাহুল। সূত্রের খবর, দুই রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বই দলের দুই শীর্ষ নেতার কাছে আর্জি জানিয়েছেন, কোনও মতেই যেন আপকে সমর্থন জানানো না হয়।

‘কেজরিওয়ালের সঙ্গে হাত মেলানো উচিত হবে না৷ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে অদূর ভবিষ্যতে কংগ্রেসের সমস্যা বাড়বে বই কমবে না’, এমনই দাবি সহ কংগ্রেসের একঝাঁক প্রথম সারির নেতা এদিন বৈঠক করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে, খবর দলীয় সূত্রে৷ দিল্লি এবং পঞ্জাবের প্রথম সারির কংগ্রেস নেতাদের একটা বড় অংশের এই অভিমত জানার পরে শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়োগ ও বদলি ইস্যুতে দিল্লি সরকারের ক্ষমতা খর্ব করে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় ভোট দেওয়া হবে কী না সেই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে রীতিমত দোলাচলে কংগ্রেস হাইকমান্ড৷ সূত্রের খবর, দিল্লির বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন, শক্তিসিং গোহিল সহ অরবিন্দ লাভলি, হারুণ ইউসুফ, অনিল কুমারের মত কংগ্রেসের এক ঝাঁক প্রবীণ নেতার মনোভাবকে সরাসরি অগ্রাহ্য করতে পারছেন না মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধী৷ এই মর্মেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তাঁর দলকে কংগ্রেস সমর্থন জানাবে কী না সেই সিদ্ধান্তও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে৷ এমনকী আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চাওয়ার চারদিন পরেও সেই বিষয়ে এখনও কোনও সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়নি৷ বলার অপেক্ষা রাখে না, এই পরিস্থিতিতে খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে৷ রাজ্যসভায় কংগ্রেস পাশে না থাকলে আম আদমি পার্টির পক্ষে সরকারের আনা অধ্যাদেশ রোখা কোনওভাবেই সম্ভব হবে না, তা ভালো মতই বুঝতে পারছে বিজেপি শিবির।