শ্রীনগর ৭জুন:ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন কেন হচ্ছে না তা জনগণকে বলার জন্য নির্বাচন কমিশনের সাহস সঞ্চয় করা উচিত।তাদের (নির্বাচন কমিশন) উপর নির্বাচন না করার জন্য কি চাপ আছে? নির্বাচন কমিশন একটু সাহস দেখান এবং বলুন যে তারা চাপের মধ্যে রয়েছেন। কিছু একটা সমস্যা আছে,।” ওমর আবদুল্লাহ শ্রীনগরে দলীয় সদর দফতরের বাইরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন,”মিডিয়া আমাদের চেয়ে নির্বাচন নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। নির্বাচন আমাদের অধিকার কিন্তু আমরা এর জন্য নতজানু নই। তারা যদি জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে কিছুটা আনন্দ পেতে চায় ,তাহলে তারা তা পাক। এটা তাদের করতে দাও। আমাদেরও কিছু আত্মসম্মান এবং মর্যাদা আছে।”
ওমর আবদুল্লাহর জিজ্ঞাসা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তাঁর শেষ সফরের সময় স্বীকার করেছিলেন যে জম্মু ও কাশ্মীরে একটি শূন্যতা আছে।“সেই সময় যদি ইসি এখানে শূন্যতা দেখেন, তাহলে তা পূরণ হচ্ছে না কেন? কী বাধ্যবাধকতা?”
জম্মু কাশ্মীরের নির্বাচন কেন বারে বারে পিছিয়ে যাচ্ছে বলে প্রশ্ন তুললেন ওমর আবদুল্লা। তিনি জানান, দেশের অন্য রাজ্যে নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। অথচ জম্মু কাশ্মীরে আইন শৃঙ্খলা হামেশাই ভালো বলে বিজেপি দাবি করলেও রাজ্যের নির্বাচন বারে বারে কেন পিছিয়ে দেওয়া হয়, তার কোন জবাব তাদের কাছে মেলে না। তিনি বলেন, সময় এসেছে অবিলম্বে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন করা উচিত।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেন আবদুল্লা। জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল, রাজ্যে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা বৃদ্ধি, রাজ্যে গণতান্ত্রিক কার্যকলাপ রোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আবদুল্লা। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের এক জোট হয়ে লড়ার কথাও তিনি জানান।
এদিন রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আবদুল্লা সাক্ষাৎকারে বলেন, দীর্ঘদিন হয়ে গেল জম্মু কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে না। আমাদের গণতান্ত্রিক দেশ। প্রতি রাজ্যে সময় মতো নির্বাচন হচ্ছে, অথচ কেন জম্মু কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করা হচ্ছেনা তার কোনও জবাব নেই।
বিরোধীরা একজোট হয়েই নির্বাচন কমিশনকে রাজ্য বিধানসভা ভোট করার দাবি জানিয়েছে। তার পরেও করতে নির্বাচনের কোনও উদ্যোগ নেই কমিশনের। আসলে কেন্দ্র রাজ্যের নির্বাচন করতে চাইছে না। তাই পিছিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন। তারা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও অন্যান্য পৌরসভা নির্বাচন করতে চাইলেও বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও তাঁর পরামর্শদাতার নির্দেশে শাসন ব্যবস্থা চলছে। সেখানে জনপ্রতিনিধিদের কোনও কথা শোনা হয় না। এতে সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।
