ভোপাল ৯জুন: ‘ধর্মান্তরের জন্য বলিউড দায়ী এবং এটি সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল’।মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারের আইএএস অফিসার নিয়াজ খান এ কথা বলেছেন ৷ ধর্মান্তর সম্পর্কে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় এই আইএএস অফিসার বলেন, “ধর্মান্তর মোটেও ঠিক নয়৷ বলিউড থেকে শুরু হয় ধর্মান্তর। যেখানে বড় বড় ফিল্ম স্টাররা হিন্দুদের মুসলমানে পরিণত করেছেন, সেখানে আজও তা হচ্ছে। ধর্মান্তর করাটা ভুল কারণ আমরা একটা ধর্মকে অন্য সব ধর্মের ঊর্ধ্বে মনে করি এবং অন্য ধর্মকে ছোট ভেবে অন্য ধর্মকে তাদের ধর্মে যোগ দিতে বলি, এটা খুবই ভুল।”
তিনি আরও বলেন,“আমারা একটা গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক, এখানে সব ধর্ম সমান। আমরা কিভাবে বলতে পারি যে বিয়ের পর কেউ আমার ধর্ম গ্রহণ করুক । উভয়েরই উচিত নিজ নিজ ধর্ম পালন করা। যদি এত ভালবাসা থাকে এবং বাধ্যতামূলক হয়, তবে উভয়েরই নিজ নিজ ধর্ম অনুসরণ করা উচিত, আমি মনে করি ধর্মান্তর করা ঠিক নয় ।
ধর্মান্তরের জন্য বলিউড দায়ী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বলিউড ধর্মান্তরের জন্য ১০০ শতাংশ দায়ী। বলিউড আমাদের দেশের রোল মডেল, দর্শকরা শিল্পীদের বড় মাপের মানুষ বলে বিবেচনা করে। লোকেরা পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুকরণ করে, যার ফলশ্রুতিতে নগ্নতা এবং অশ্লীল দৃশ্য দেখানো হয়, যা আমাদের সভ্যতার অবনতি ঘটাচ্ছে এবং তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করছে।”
বলিউড যদি হলিউডের অনুকরণ করা বন্ধ করে তাহলে দেশপ্রেমের চেতনা জাগবে। বলিউডই সব পাপের উৎস। হলিউড থেকে সিনেমা আমদানি হয়। বলিউড আমাদের দেশের সংস্কৃতিকে কলঙ্কিত করছে এবং শিশুদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
