বনগাঁয় ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে বাধা, ক্ষুব্ধ তৃণমূলের রাজপুত্র অভিষেক

তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মূসচিতে ঠাকুরনগরে মতুয়া মহাসঙ্ঘের পীঠস্থান ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে না পেরে মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে ঠাকুরনগরে মূল মন্দির সংলগ্ন একটি ছোট মন্দিরে যান অভিষেক। সেখান থেকেই শান্তনু ঠাকুরের উদ্দেশ্যে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। বলেন, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তাঁদের জবাব দেওয়ার দায় তিনি সাধারণ মানুষকে দিয়েছেন। অভিষেক জানান, তিনি চাইলে ৫ মিনিটেই সব বাধা সরিয়ে মন্দিরে ঢুকতে পারতেন। কিন্তু তিনি অশান্তি চান না, তাই সেটা করেননি। আবার তিনমাস পরে তিনি ঠাকুরনগর আসবেন তখন তাঁকে আটকে দেখানোর চ্যালেঞ্জও ছোড়েন তিনি।

‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে এই মুহূর্তে উত্তর ২৪ পরগনায় রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর বনগাঁর ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে আসার কথা ছিল। পুজো দেওয়ার পাশাপাশি বীণাপাণি দেবী অর্থাৎ বড়মার ঘর সহ গোটা মন্দির এলাকা ঘুরে দেখার পরিকল্পনা ছিল অভিষেকের। কিন্তু অভিষেকের সফরের আগেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে ঠাকুরনগরে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের অনুগামী মতুয়া মহাসঙ্ঘের একাশং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মতুয়া গুরু সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। অভিষেকের প্রবেশ আটকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় ঠাকুরবাড়ির গেট। ঢুকতে দেওয়া হয়নি পুলিশকেও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসার আগেই দেখা যায় মন্দিরে বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায় মতুয়াদের। মতুয়া ভক্তরা অনেকেই বিক্ষোভ দেখান হাতে কালো পতাকা নিয়ে। ঘনঘন স্লোগান তোলা হয় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
যদিও পালটা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল শাসক তৃণমূলও। শাসক দলের তরফ থেকে মন্দির চত্ত্বরে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল অভিষেকের সফরকে কেন্দ্র করে। বড়মার মন্দিরও ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়। অভিষেক অবশ্য পাশের একটি ছোট মন্দিরে পুজো দেন। ঘুরে দেখেন বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘর। পরে অভিষেক জানান, এই মন্দির কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। শান্তনু ঠাকুরদের দাবি, অতীতে করা কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য যতদিন মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইবেন ততদিন বিক্ষোভ চলবে।