হায়দরাবাদে হিজাবের অনুমতি না দেওয়ায় স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা ছাত্রীর

হায়দরাবাদ ২৪জুন: দশম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরতে না দেওয়ায় হায়দরাবাদে একটি বেসরকারি স্কুলের ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।ওই স্কুলের অধ্যক্ষা এবং শিক্ষিকারা দশম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে হিজাব না করার জন্য বলেছিল।১২ জুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হয় এবং উভয় ছাত্রীই এতদিন মাথায় স্কার্ফ পরে স্কুলে আসছিল। তাদের অভিযোগ ,স্কুলের অধ্যক্ষা এবং শিক্ষিকা তাদের ক্লাসরুমে স্কার্ফ না পরতে বলেছিলেন। এক ছাত্রী হায়াথনগর থানায় অভিযোগ করেছে এবংপরে মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ কথা জানিয়েছেন থানার অফিসার শ্রীনিভাসুলু ।
পুলিশ ১৫৩এ,২৯৫,২৯২, আইপিসি ধারায় অধ্যক্ষা পূর্ণিমা শ্রীবাস্তব এবং শিক্ষিক মাধুরী কবিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে৷ ঘটনার পুলিশ তদন্ত চলছে৷
উল্লেখ্য,সম্প্রতি বোরকাপরে আসায় এর দল ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হায়দরাবাদের এক কলেজের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছাত্রীরা বোরকা খোলার পরই পরীক্ষায় বসতে অনুমতি দেওয়া হয়।হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি কলেজে পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা দিতে হাজির হয়েছিলেন এক দল ছাত্রী। সকলেই বোরখা পরে ছিলেন। অভিযোগ, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে গেলেই তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। বলা হয়, বোরখা খুলে পরীক্ষায় বসতে হবে। আধঘণ্টা অপেক্ষা করার পর বোরখা খুলে পরীক্ষায় বসেন ছাত্রীরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়।
এক ছাত্রী বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেন, আগামী কাল থেকে যেন বোরখা পরে কলেজে না আসি। এটি পরীক্ষার নিয়মের বিরুদ্ধে। এর পরই আমাদের অভিভাবকরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলির কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, বোরখা পরে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়।”
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই তেলঙ্গানার মন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি বলেন, “পুরো শরীর ঢাকা পোশাক পরা উচিত মহিলাদের।” হায়দরাবাদের ওই কলেজের ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের নীতি ধর্মনিরপেক্ষ।প্রত্যেকেরই তাঁর নিজের পছন্দ মতো পোশাক পরার অধিকার আছে।