পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে ৫৬ জন নেতা–কর্মীকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার এদের সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় প্রার্থীকে কেউ না মানলে তাদেরও বহিষ্কার করা হবে বলে বার্তা দিয়েছেন তিনি। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় গলার কাঁটা নির্দল প্রার্থী। সেটা নিয়ে নির্বাচনী বৈঠক থেকে বার্তা দিয়েছিলেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী নবজোয়ার কর্মসূচি শেষে একই বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরও প্রায় প্রতিটি জেলাতেই দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দলপ্রার্থী হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন বহু দলীয়কর্মী। তাই এদিন ৫৬ জন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করে দলের বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন অভিষেক।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৫৬ জনকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক রিপোর্ট আসলে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে দলবিরোধী কাজের অভিযোগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে একঝাঁক তৃণমূল নেতা। এরমধ্যে রয়েছেন নদিয়ার ২১ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরের ১৭ জন এবং মুর্শিদাবাদের ১০ জন। সবটা ধরলে সংখ্যাটা ৫৬ জনে পৌঁছেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বার্তা দিয়েছেন, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ অনেক কিছু দেখেশুনে করা হয়েছে। মানুষের কাজ করার ক্ষেত্রে যাঁদের পিছিয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল তাঁদের বাদ দিয়েছে দল। পরিবর্তে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে জোর দিয়েই ২০২৩ সালের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ হয়েছে। এমনকী নির্দল হিসাবে দাঁড়ালে দলের দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে সে কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অভিষেকও নির্দলদের ভাল চোখে নেননি। তিনি বলেছিলেন, দলের সঙ্গে যাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করবে তাঁদের দল বহিষ্কার করবে। এবার সাসপেন্ড করা হল।
