পশ্চিমবঙ্গকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ করার চেষ্টা করছে তৃণমূল, বীরপাড়ায় সভায় এসে অভিযোগ শুভেন্দুর

পঞ্চায়েত ভোটে চাহিদা মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী মিলবে না, কার্যত এমনটাই বুঝিয়ে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ায় বিজেপির জনসভায় প্রথমে বক্তব্যে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারাতেই পঞ্চায়েত ভোট হবে। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারাতে ভোট গণনাও হবে। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তার বক্তব্যের সারমর্ম, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি মোতাবেক ৮২২ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। শুভেন্দুর কথায়, এর আগে ২৬০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছিল। এবার তো ৩৩৭ কোম্পানি থাকবে। অমরনাথ যাত্রা চলছে। জি-২০ সম্মেলন চলছে। মণিপুরে অশান্তি চলছে। সেখানেও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী পেতে ফি দিতে হতো। এবছর কেন্দ্রীয় বাহিনী পেতে ফি দিতে হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, এবারও তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস ও ছাপ্পা ভোট করতে পারে বলে বিজেপির নিচুতলা থেকে শুরু করে মাঝারি স্তরের নেতাদের আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ৮২২ কোম্পানি চেয়ে এখনও পর্যন্ত মিলেছে মাত্র ৩৩৭ কোম্পানি আধা সেনা। ওই ৩৩৭ কোম্পানি আধা সেনা দিয়েই দিয়েই যে ভোট সম্পন্ন হবে তা এদিন ঘুরিয়ে বুঝিয়ে দেন শুভেন্দু। ফলে বিজেপির নিচুতলাতেও চিন্তা বাড়ল। শুভেন্দু অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুরুত্ব এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সন্ত্রাসের অভিযোগের চেয়ে দুর্নীতি এবং সরকারি অর্থ লুটতরাজের অভিযোগের ওপরই বেশি আলোকপাত করেন। পাশাপাশি রাজবংশী, আদিবাসী নেপালি, সেন্টিমেন্টকে উসকে দেন। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ‘তৃণমূল তোষণের রাজনীতি করছে। পশ্চিমবঙ্গকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’