শুক্রবার বিকেলে বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি, দক্ষিণ দিনাজপুর আদিবাসী যৌথ মঞ্চ ও পশ্চিমবঙ্গ সানথাল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, এবার পঞ্চায়েত ভোটে প্রচুর সাধারণ মানুষকে আদিবাসী আসনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, আরএসপি সকলেই আছে। সেইসব প্রার্থীদের নাম সহ একটি তালিকা তুলে ধরেছেন আদিবাসীরা। যেখানে মোট নয় জন প্রার্থীকে তাঁরা অ-আদিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করে জেলা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন।
তাঁদের দাবি, তপশিলি উপজাতিভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও সুবিধা লাভের আশায় প্রচুর মানুষ ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করছেন। তার ওপর নির্ভর করেই তাঁরা এবারের পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হিসেবেও দাঁড়িয়েছেন। যা একেবারেই উচিত হয়নি। এই নিয়ে আদিবাসী সংগঠন গুলি রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। আদিবাসীদের এই তালিকায় বালুরঘাটের হালদারপাড়া থেকে শুরু করে চিঙ্গিসপুর, দৌলতপুর, গাঙ্গুরিয়া, তপনের রামপাড়া চ্যাঁচড়া, হরিরামপুরের বাগিচাপুর সহ একাধিক গ্রামের নাম উঠে এসেছে। আসনগুলি তপশিলি উপজাতির জন্য বরাদ্দ ছিল। প্রায় সব রাজনৈতিক দলেরই প্রার্থী এই তালিকায় রয়েছেন। যদিও সব দলই সরকারি নিয়ম মেনেই প্রার্থী করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
