ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ সামিটের দরাজ প্রশংসায় বাইডেন প্রশাসন

নয়াদিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর: সদ্য ভারতে শেষ হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। বিশ্বের প্রায় সমস্ত রাষ্ট্রনেতাদের উপস্থিতিতে ভারতের সভাপতিত্বে আলাদা মাত্রা পেয়েছে এই সামিট।
দেশে ফিরেই ভারতের দরাজ প্রশংসায় ভাসল বাইডেন প্রশাসন। সাংবাদিক বৈঠক করে জি-২০ সামিটের প্রশংসা করলেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ওয়াশিংটনেই সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করি যে, নয়া দিল্লিতে আয়োজিত জি-২০ সামিট সফল হয়েছে। রাশিয়া এবং চিনও জি-২০-র সদস্য।” জি-২০ সামিট নিয়ে নয়া দিল্লির তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তারও প্রশংসা করেন মিলার। তিনি বলেন, “এখানে জি-২০’ বিভিন্ন মতামতের সদস্য আছেন। আমরা বিশ্বাস করি যে, এই সংস্থাটি এমন একটি বিবৃতি জারি করতে সক্ষম হয়েছিল যা আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার আহ্বান জানায় এবং এই নীতিগুলি লঙ্ঘন করা উচিত নয় বলে জানায়।” এমনকি ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রসঙ্গ তোলা হলেও রাশিয়ার নাম নেওয়া হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভারতের সভাপতিত্বে এবারেই প্রথম জি-২০ সামিট আয়োজিত হয়। গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দু-দিন ব্যাপী নয়া দিল্লির ‘ভারত মণ্ডপম’-এ সম্মেলন বসে। চিন ও রাশিয়া বাদে জি-২০-ভুক্ত সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাই সামিটে অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এই সামিট থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রীবৃদ্ধি, ডিজিটালাইজেশন, জলবায়ুর স্থিতিস্থাপকতা এবং বিশ্বব্যাপী সকলকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। প্রথামাফিক আগামী বছরের জি-২০ সামিটের ব্যাটন ব্রাজিলের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এখানেও চমক দিয়ে মোদি নভেম্বরের শেষে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আরেকটি ভার্চুয়াল অধিবেশন করার প্রস্তাব রেখেছেন। কারণ নভেম্বর পর্যন্ত জি-২০’র সভাপতিত্বের দায়িত্ব থাকবে ভারতের হাতে। মোদি জানিয়েছেন, সেই অধিবেশনে এই শীর্ষ সম্মেলনের সময় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি পর্যালোচনা হতে পারে। সবাইকে সেই সম্মেলনে যুক্ত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন মোদি।