নয়াদিল্লি ৮ অক্টোবর:ইংরেজি নাম ইন্ডিয়া আর হিন্দি, বাংলা অথবা অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় দেশের নাম ভারত। ভারতের সংবিধানেও লেখা আছে সেরকমই।
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর তাদের প্রতি কটাক্ষ করেছেন যাদের ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি নিয়ে সমস্যা আছে কিন্তু তারা যারা নিজেদেরকে ‘হিন্দু’ বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, যদিও ভারত এবং হিন্দু উভয় শব্দই একই ব্যুৎপত্তি থেকে এসেছে, যা হল সিন্ধু নদী।
তাঁর বই ‘কেন আমি হিন্দু’-এর কন্নড় সংস্করণ ‘নানু ইয়াকে হিন্দু’-এর উদ্বোধনের সময় ‘হিন্দু’ শব্দটির উৎপত্তির কথা উল্লেখ করে, তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ বলেছিলেন যে দুটি শব্দই বিদেশিরা দিয়েছিলেন ।বিদেশিরা এলাকার মানুষকে চিহ্নিত বা বর্ণনা করার জন্য তা ব্যবহার করেন।
শশী ঠাকুরের ব্যাখ্যা– ‘ভারত’ এবং ‘হিন্দু’ একই ব্যুৎপত্তি থেকে উদ্ভূত হয়েছে। আপনি যদি ‘ইন্ডিয়া’ ব্যবহার করতে না চান, তাহলে ‘হিন্দু’ও ব্যবহার করতে পারবেন না। তারা উভয়ই একই উৎস থেকে এসেছে, সিন্ধু নদী থেকে,” ।
‘ইন্ডিয়া বনাম ভারত’ বিতর্কের মাঝখানে, থারুর বলেছিলেন, “এটা খুবই বিদ্রূপাত্মক, যখন আমি শুনি শাসক দলের কিছু লোক ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি ব্যবহারে আপত্তি জানাচ্ছে।তাদের মতে এটি খাঁটি নয় এবং একই লোকেরা চিৎকার করে বলছে , ‘গৌরব সে কহ হাম হিন্দু হ্যায়।’
এর আগে তিনি ইন্ডিয়া বনাম ভারত’ বিতর্কে ইঙ্গিতমূলক মন্তব্য করেন । ‘ইন্ডিয়া’ নামে আপত্তি ছিল খোদ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার, দাবি কংগ্রেস সাংসদের। সেই সঙ্গে দেশে নাম পরিবর্তনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মোদি সরকারের কাছে জানিয়েছেন আবেদন।
রাষ্ট্রপতির তরফে জি-২০-র আমন্ত্রণপত্রে ‘ইন্ডিয়া’-র পরিবর্তে ‘ভারত’ নাম ব্যবহার নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক।
