রামদেবের বিরুদ্ধে মামলা:কেন্দ্র,কয়েকটি রাজ্য সরকার এবং আই এম এর মত চেয়ে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি ৯ অক্টোবর:যোগগুরু বাবা রামদেব কোভিড চলাকালীন অ্যালোপ্যাথি ওষুধের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেন।তখন তার বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বা আই এম এ এফআইআর দায়ের করে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং কেন্দ্র, বিহার এবং ছত্তিশগড় সরকারগুলির কাছে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলায় যোগগুরু এবং পতঞ্জলির মালিক বাবা রামদেবের আধুনিক অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যের জন্য দায়ের করা একটি আবেদনের প্রতিক্রিয়া চেয়েছে। বিচারপতি এএস বোপান্না এবং এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চ রামদেবের আইনজীবী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিদ্ধার্থ দাবের কথা শুনে নোটিশ জারি করে। রামদেব ২০২১ সালে অ্যালোপ্যাথি সম্পর্কে তার মন্তব্যের জন্য বিভিন্ন রাজ্যে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন,
এর আগে অ্যালোপ্যাথি ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য যোগগুরু রামদেবের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এন ভি রমণার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ জানিয়েছে, রামদেব আয়ুর্বেদশাস্ত্র জনপ্রিয় করার জন্য প্রচার চালাতেই পারেন। কিন্তু তার জন্য তাঁর অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থার সমালোচনা করা উচিত নয়।শুনানি চলাকালীন, বিচারপতি এন ভি রমণা আদালতে প্রশ্ন তোলেন, ‘‘রামদেব কেন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন? তিনি যোগব্যায়ামকে জনপ্রিয় করেছেন। সেটা খুব ভাল কথা। কিন্তু তার জন্য তাঁর অন্য চিকিৎসা ব্যবস্থার সমালোচনা করা উচিত নয়। তিনি যা মেনে চলেন তা মেনে চললেই সবাই সব রোগ থেকে সুস্থ হয়ে যাবেন তার নিশ্চয়তা কী?’’

কোভিড টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ এনে রামদেবের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)’। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই এই মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি রমণা। আইএমএ-র আবেদনে কেন্দ্রের কী মত, সেই জবাব চেয়েও নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে তাঁর করা মন্তব্যের জন্য দিল্লি হাই কোর্টও রামদেবকে সতর্ক করেছিল।