কলকাতা হাইকোর্ট আরও ৩ জন বিচারপতি পাচ্ছে

রাজ্যের সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের কাছে সুখবর যে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা বাড়ছে,অর্থাৎ জমে থাকা মামলা গুলির বিচারদানের গতি কিছুটা বাড়বে।চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের সচিবালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন তিন বিচারপতির নাম জানানো হয়েছে। এই তিন বিচারপতি হলেন বিচারপতি সূর্যপ্রকাশ কেশরওয়ানী, বিচারপতি এমভি মুরলিধরন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদ। এর ফলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৫ জন।আগামী ২ নভেম্বর এই তিন বিচারপতি কলকাতা হাইকোর্টে শপথ গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে । কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের সচিবালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। এই তিন বিচারপতি হলেন, বিচারপতি সূর্যপ্রকাশ কেশরওয়ানী, বিচারপতি এমভি মুরলিধরন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদ। এরফলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৫ জন। যদিও এর মধ্যে বিচারপতি লাপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ভিন রাজ্যে খুব শীঘ্রই বদলি হয়ে যাবেন বলে জানা গেছে । সুপ্রিমকোর্ট কলেজিয়াম এই দুই বিচারপতির নাম ইতিমধ্যেই অন্যান্য হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে সুপারিশ করেছে।বিচারপতি সূর্যপ্রকাশ কেশরওয়ানী এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। তিনি ১৯৮৫ সালে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ওইবছর অগস্ট মাসে তিনি আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন। মুলত ট্যাক্স এবং সাংবিধানিক বিষয়েই তিনি প্র‍্যাকটিস করতেন। এরপর ২০১৩ সালের ১২ এপ্রিল বিচারপতি হিসাবে মনোনীত হন তিনি। পরে ২০১৪ সালের ২ অগস্ট পূর্ণ সময়ের বিচারপতি হন কেশরওয়ানী। অন্যদিকে, বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদ ছিলেন পটনা হাইকোর্টের বিচারপতি। ২০১৭ সালের মে মাসে তিনি পটনা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে মনোনীত হন। চলতি বছরের গত ৩ আগস্ট সুপ্রিমকোর্ট কলেজিয়াম তার বদলির সুপারিশ করে পটনা হাইকোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে।মণিপুরের মেইতি সম্প্রদায়কে আদিবাসী মর্যাদা দেওয়ার রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনার মুখে পরা সেখানকার বিচারপতি এমভি মুরলীধরনকে কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে বদলির সুপারিশ করে সুপ্রিমকোর্ট কলেজিয়াম। গত এপ্রিল মাসে তাঁর দেওয়া এই নির্দেশের পরেই আদিবাসী এবং অ-আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। তারপরেই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ মুকুলকে মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার।আগামী ২ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে এই নব নিযুক্ত ৩ জন বিচারপতি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।