অসমের বিজ্ঞানী ডঃ হিফজুর রহমান সিদ্দিক ক্যান্সার গবেষণায় যুগান্তকারী সাফল্য এনেছেন

গুয়াহাটি ১০নভেম্বর:আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ডা: হিফজুর রহমান সিদ্দিক চিকিৎসা- গবেষনায় বিশেষ সাফল্য পেয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ভারতে গল ব্লাডার ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে একটি বায়োমার্কার চিহ্নিত করেছেন।ক্যান্সার সনাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত বেশিরভাগ বায়োমার্কার পশ্চিমা বিশ্বে আবিষ্কৃত হয়। ভারতে তা এখনও হয়নি।তিনি তা করে দেখিয়েছেন।
ডা: সিদ্দিক মলিকুলার ভারতের ক্যান্সার জেনেটিক্স অ্যান্ড ট্রান্সলেশন রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে প্রজেক্ট প্রধানের পদে আছেন। তিনি ভারতের একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ বিজ্ঞানীর গৌরব অর্জন করেছেন। বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের বিভিন্ন কারণ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে তিনি গবেষণা করছেন।।
লস অ্যাঞ্জেলেস ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া-এর অধ্যাপক কেইগো মাচিদা এবং অন্যান্য সহকর্মীদের সহযোগিতায় ড. সিদ্দিক গবেষণায় আবিষ্কার করেছেন যে মানবদেহে প্রোটিন তৈরিকারী ক্যান্সার কোষ লিভারে টিউমারের বৃদ্ধি ঘটায়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন বা হেপাটাইটিস সংক্রমণের ফলে মানবদেহে এই ম্যালিগন্যান্ট কোষ তৈরি হয়।
ডা: হিফজুর রহমান সিদ্দিকের বর্তমান গবেষণাটি ক্যান্সার থেরাপি প্রতিরোধের জন্য দায়ী সনাক্তকরণ অণু এবং ঔষধি বা ভোজ্য গাছ থেকে ছোট অণু প্রতিরোধক এবং বায়োঅ্যাকটিভ অণু অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার সনাক্তকরণ করবে।
ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির কার্যকারিতা সীমিত করে এমন কেমোরেসিস্ট্যান্স বোঝা এবং মোকাবেলা করা ডাঃ সিদ্দিকের গবেষণা প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দু।
ড. সিদ্দিক তার গবেষণায় ক্যান্সারের সূচনা, অগ্রগতি, এবং কেমোরেসিস্ট্যান্সে বিভিন্ন কোষ, জিন এবং প্রোটিনের ভূমিকা উন্মোচনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন।
বিদেশি জার্নালে ডা: সিদ্দিকের ১০০ টিরও বেশি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
এএমইউ’তে ডা: সিদ্দিককে ২০২২ সালের স্যার সৈয়দ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড-অসাধারণ গবেষক সহ অনেক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি সুইডেনে অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়াল সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ।এছাড়া তিনি এপিজে আবদুল কালাম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড, ভারত; -ইনোভেটিভ রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড, ব্যাংকক, থাইল্যান্ডে, এসএন নাহার ডিস্টিংগুইশড টিচার অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তিনি ভারতের বায়োটেক রিসার্চ সোসাইটির ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হন। বিআরএসআই-এর বোর্ড অফ গভর্নরস-এর সদস্যদের একজন এবং ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস ইলাহাবাদের তিনি আজীবন সদস্য।