নয়াদিল্লি ১৪ নভেম্বর:দিল্লিতে বাজি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মূলত বায়ু দুষণ রুখতেই এই কড়া নির্দেশ। তবে তারপরেও বাজি ফাটানো হয়েছে দিল্লিতে। দুষণ বেড়েছে। বেড়েছে উদ্বেগ। এসবের পরেও বাজি ফাটানো নিয়ে গর্বিত বিজেপির দিল্লির সহ সভাপতি কপিল মিশ্র। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, স্বাধীনতা আর গণতন্ত্রের আওয়াজ। দিল্লি তোমার জন্য গর্বিত। প্রতিরোধের আওয়াজ,স্বাধীনতার আওয়াজ, গণতন্ত্রের আওয়াজ। মানুষ অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে অবৈজ্ঞানিক, অযৌক্তিক ও একনায়কতন্ত্রের এই নিষিদ্ধতার বিরুদ্ধে গিয়েছেন। একথা লিখেছিলেন বিজেপি নেতা। কার্যত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে উপেক্ষা করে যারা বাজি ফাটিয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি নেতা। এটাই নাকি স্বাধীনতা, এটাই নাকি গণতন্ত্র!
এই বক্তব্যের নিন্দায় দিল্রির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই মঙ্গলবার বলেছেন, বিজেপির সঙ্গে যুক্ত লোকেরা দীপাবলির সময় আতশবাজি ফাটানোকে সমর্থন করার জন্য ‘অযৌক্তিক’ যুক্তি দিচ্ছে, যার ফলে জাতীয় রাজধানীতে দূষণের মাত্রা তীব্রভাবে বেড়েছে ।
বিজেপি নেতার এই পোস্টকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তৃণমূল এমপি সাকেত গোখলে লিখেছেন, গত ৬ ঘণ্টা ধরে অবিরত বাজি ফাটানো নিয়ে দিল্লিকে ধন্যবাদ। বিশেষত বিজেপির এমপি ও মন্ত্রীদের। এই নিষিদ্ধকরণের বিষয়টি ঠিক বুঝতে পারলাম না যখন শাসকদলের লোকজনই রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে (এই বাজি নিষিদ্ধকরণের বিরুদ্ধে গিয়ে) আইনভঙ্গ করলেন।এদিকে গোখেল জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশকে তিনি চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন বাজি ফাটানো নিয়ে কতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি লিখেছেন এই সকালে উঠে দেখলাম দিল্লিতে দুষণের মাত্রা ভয়াবহ। রাতে যারা বাজি ফাটিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ। সুপ্রিম কোর্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও এত বাজি তৈরি হল ও ফাটল। গত রাতে বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বাজি ফাটালেন আমাদেরই পাড়ায়। বিজেপি নেতারা দিল্লির বুকে দাঁড়িয়ে আদালতের নির্দেশকে লঙ্ঘন করলেন। দিল্লি পুলিশ কিছু করল না। আমি জানতে চাই কেন দিল্লি পুলিশ কিছু করল না। কেন দিল্লির এত মানুষকে বিশেষত শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ, রোগীদের এভাবে গ্যাস চেম্বারের মধ্য়ে থাকতে বাধ্য করা হল ?
