300 বছরের ঐতিহ্যবাহী পাগলী কালীপূজা সম্পন্ন হলো সোমবার।
হিন্দু ও মুসলমানের মিশ্র সংস্কৃতি নিয়ে গড়ে ওঠা মূর্তিহীন পাগলী কালীপুজো মহাসমারোহে মালদার খাসখোলে
ভাগীরথীর তীরে আজও সারম্বরে পূজিত হয় ।
হিন্দু ও মুসলিম ধর্মের নানা আচার ও নিয়ম নিয়ে এই পাগলী কালীর তৈরী হয়েছে নিজস্ব রীতিনীতি ।
এলাকার হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মিলন মেলা জেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রূপপায় এই পূজা।

হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বিভিন্ন রীতিনীতি এই পূজাতে পরিলিক্ষত হয়। ফলে পূজাকে ঘিরে হিন্দুদের মতো মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতি ও উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। পাগলীর আচার ও রীতিনীতি বিশ্লষণ করলে দেখা যায়
@ কোন মূর্তি উঠে না মূর্তি ছাড়াই এই পূজা হয়।
@ কালী পূজার দিন রাতে নয় পর দিন সকালে পূজা হয় ।
@ ও আড়কাঠ ছাড়াই বলি হয় ।
এই তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট্য ছাড়াও এই কালীপুজো আরো পৃথক বেশকিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে ।
বৈশিষ্ট্যগুলি হলো সকালে ঘটভরা, ও পূজা ।দুপুরে আড়কাঠ ছাড়াই বলি, ও বিকেলে ভোগদান , অনাদিকাল থেকে এই নিয়ম গুলি চলে এসেছে। ভিন্ন সংস্কৃতি ও ভিন্ন বিশ্বাস নিয়ে গড়ে ওঠা পাগলীর ইতিহাস ঘাঁটলেই এই ভিন্নতার কারন স্পষ্ট হয় ।
বাঙ্গীটোলা ও খাসখোল এলাকার প্রবীন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এখনকার ইতিহাস যা বর্তমানে এলাকার লোকশ্রুতি ও জাগ্রত বিশ্বাস রুপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।
