সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে যদি পেঁয়াজের দাম বাড়ে তাহলে তার মাসুল গুনতে হবে কেন্দ্রের শাসকদলকে। কারণ বিরোধীরা চেপে ধরবে এনিয়ে। সেকারণে আর কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না সরকার। লোকসভা ভোটের আগে জিনিসপত্রের দাম ঠিকঠাক রাখাটা সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ আলু পেঁয়াজের দাম বাড়লে তা সরাসরি সাধারণ মানুষের উপর আঘাত হানে। সেকারণে এই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখাটা সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। অনেকে বলছেন সে কারণেই ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে কেন্দ্র। সরকারের এই সিদ্ধান্তে বেজায় কেটেছে নাসিকের কৃষকরা। মহারাষ্ট্রে উৎপাদিত পেঁয়াজের ৭০ শতাংশ আসে নাসিক থেকে। স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার প্রতিবাদে সিঁদুরে মেঘ দেখছে মহারাষ্ট্রের বিজেপি জোট সরকার।
পুলিশ জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের নাশিক জেলার ৩ স্থানে মুম্বই-আগ্রা জাতীয়সড়ক অবরোধ করেন পেঁয়াজ চাষিরা । ট্রাক্টর ব্যবহার করে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। গত ৪ থেকে ৫ দিন ধরে নাশিকের লাসালগাঁও, নন্দগাঁও, পিম্পালগাঁও ও উমারেনে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। এখনও সেটা অব্যাহত আছে। ফলে এই মার্কেটগুলি বন্ধ রয়েছে।
ডাইরেক্টরেট অফ ফরেন ট্রেড একটি নোটিফিকেশনে জানিয়েছে, পেঁয়াজের যে আমদানি নীতি সেটা সংশোধন করা হয়েছে। ৩১ মার্চ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিদেশে পেঁয়াজ রফতানি করা পুরো নিষিদ্ধ।সরকার চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানিতে প্রতি টন ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) ৮০০ ডলার নির্ধারণ করেছিল। এর আগে অগাস্টে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রফতানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। ডিজিএফটি বলেছে যে অন্যান্য দেশগুলিকে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার পরে তাদের অনুরোধের ভিত্তিতে পেঁয়াজ রফতানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।
