‘জেনে বুঝে বোসকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল’, মন্তব্য রাজ্যপালের

জেনে বুঝে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। নেতাজীর জন্মজয়ন্তীতে রাজভবনে এমনটাই আক্ষেপ জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একইসঙ্গে, রাজ্যপাল জানান, তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নেতাজির নাম। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ‘বোস’ পদবি এসেছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পদবি থেকেই। নেতাজির সঙ্গে তাঁর নামের পদবির এই যোগ নিয়ে, গর্বপ্রকাশও করেন রাজ্যপাল।
পাশাপাশি, মঙ্গলবার নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে রাজভবনে বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবনের পোর্টিকোর নাম নেতাজির নামে রাখার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এখন থেকে এটির নাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু পোর্টিকো। শুধু তাই নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে নেতাজিকে ‘ন্যাশনাল হিরো’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন, সে কথাও উল্লেখ করেন রাজ্যপাল।
তবে, রাজ্যপালের আক্ষেপ, নেতাজি দেশের স্বাধীনতার জন্য এত কিছু করা সত্ত্বেও দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইতিহাসের পাতায় তাঁকে ঠিকঠাক জায়গা দেওয়া হয়নি। এদিন রাজভবনে নেতাজির ছবিতে মাল্যদান করার পর কড়া ভাষায় রাজ্যপালের প্রশ্ন, ‘নেতাজির স্মৃতিতে কী করা হয়েছে?’ তিনি আরও বলেন, ‘দায়িত্বশীল রাজ্যপাল হিসেবে আমি বলছি, জেনে বুঝে নেতাজিকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলেছিলেন, ইতিহাসে নেতাজিকে সঠিক জায়গা দেওয়া হয়নি, ইতিহাসে তাঁকে সঠিক জায়গা দিতে হবে। এটা প্রত্যেক ভারতীয়র দায়িত্ব যাতে নেতাজি তাঁর সঠিক পরিচয় পান ইতিহাসে।’
এদিন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতিতে বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যপাল বোস আরও জানান, রাজভবনের তরফে একটি গবেষক দল তৈরি করা হবে। বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি গ্রন্থাগারকে নিয়ে এই গবেষক দল গঠন হবে। যাদের কাজ হবে নেতাজিকে নিয়ে গবেষণা করা। শুধু তাই নয়, ইতিহাসের পাতায় যাতে নেতাজিকে সঠিক জায়গা দেওয়া যায়, সে জন্য নেতাজি প্রসঙ্গে বার্ষিক বক্তৃতাসভারও আয়োজন করা হবে বলে জানান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।