নয়াদিল্লি ৬ ফেব্রুয়ারি: উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এরপরেই বিধানসভার কার্যবিবরণী স্থগিত করে দেওয়া হয়। মধ্যাহ্ন ভোজনের পরে সেই কার্যক্রম আবার শুরু হয়। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আইন পাস করাতে ফেব্রুয়ারি ৫-৮ বিধানসভার চার দিনের অধিবেশন ডাকা হয়েছে।
এদিকে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার তীব্র প্রতিবাদ করেছে।মুসলিম সার্ভিস অর্গানাইজেশন , ইউনিফর্ম সিভিল কোডের বিরোধিতা করে একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, এটি ধর্মীয় বৈশিষ্টের পরিপন্থী। মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, একটি ধর্মের নির্দিষ্ট আইনগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। রাজ্যের প্রধান ইমাম, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে সব ধর্মের আইনি বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেছেন।
দেরাদুনের জামিয়া মসজিদে একটি সংবাদিক সম্মেলনে কাজী মুহম্মদ আহমদ কাসমি গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের আপত্তি প্রত্যাখ্যান এবং তাদের পরামর্শ উপেক্ষা করে এই বিল এনেছে সরকার। তিনি বলেন,”আমরা ইউসিসির তীব্র বিরোধিতা করি এবং সাংবিধানিক নিয়মের সীমার মধ্যে এই আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করব।”
ইমাম তানজিমের সভাপতি মুফতি রইস জোর দিয়ে বলেছেন ,প্রস্তাবিত বিলটি সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার বিরুদ্ধে, যা ধর্মের স্বাধীনতা রক্ষা করার বিপরীত। তিনি দুটি আইনের মধ্যে বিরোধ এড়াতে ইউসিসির বাস্তবায়নের আগে সাংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। মুসলিম সেবা সংগঠনের সভাপতি নঈম কুরেশি বিলের খসড়া কমিটিতে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের অনুপস্থিতির কথা তুলে ধরেছেন। তিনি এই আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, বিশেষ করে মুসলিম ধর্মের উপর এর প্রধান প্রভাবের কারণে। প্রতিবাদী সংগঠনগুলি দ্বারা প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে সরকার ইউসিসি প্রবর্তনের মাধ্যমে মুসলিম ও উপজাতিদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে।প্রতিবাদে মুসলিমরা একটি অবস্থান -সমাবেশ শুরু করতে প্রস্তুত। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মাহমুদ প্রচা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা রাজ্য সরকারের বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
