বাদায়ু ৬ ফেব্রুয়ারি:উত্তরপ্রদেশের বাদায়ু জেলায় এক মহিলা বিচারকের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি ওই মহিলা বিচারকের দেহ উদ্ধার হয় ৷ তাঁর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। বিচারকের অ্যাপার্টমেন্টের ভিতর থেকেই দেহ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনিক মহলে রীতিমতো তোলপাড় পড়েছে ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের লখনউ জেলার বাসিন্দা ওই মহিলা সিভিল জজ জুনিয়র ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার দিন সকালে রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে জাজেস কোয়ার্টারে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বিচারককে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। বিপুলসংখ্যক আইনজীবীও জড়ো হয়েছিলেন সেখানে। ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য ফরেনসিক দলকেও ডেকে পাঠানো হয়। তারা বেশ কিছুূ নমুনা সংগ্রহ করেছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সমস্ত নমুনা পরীক্ষা করে কোন নতুন তথ্য উঠে আসে কিনা সেটাই এখন দেখার।
সূত্রের খবর, নিহত সিভিল জজ জুনিয়র ডিভিশন অবিবাহিত এবং তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে একাই থাকতেন। তাঁর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এখনও কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর অবশ্য জানা যায়নি। পুলিশ ও ফরেনসিক দল মামলার তদন্ত করছে ৷ মহিলা বিচারকের মোবাইল ফোনও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। জেলার আইনজীবীদের পক্ষ থেকে একটি শোক সভার আয়োজন করা হয়। তার বাবা তাকে হত্যার অভিযোগ করার পর, পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। আম জেলার বাসিন্দা, ২৯ বছর বয়সী জ্যোৎস্না রাই বাদায়ুর সিভিল জজ ছিলেন। মৃতদেহের সঙ্গে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে। বিচারকের বাবা অশোক কুমার রাই কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ করেন যে তাঁর মেয়েকে প্রথমে খুন এবং পরে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাদায়ু নগরের পুলিশ আধিকারিক অলোক মিশ্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মৃত মহিলার বিচারকের বাবা তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। । পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিচারক আত্মহত্যা করেছেন। অবশ্য বিচারকের ভাই হিমাংশু শেখর রাই পুলিশের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বাড়ির দরজা খোলা থাকলেও পুলিশ আঙুলের ছাপের প্রমাণও নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
