সাত দফাতেই হবে লোকসভা নির্বাচন। একইসঙ্গে হবে দুই রাজ্যের উপনির্বাচন। এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। এই মুহূর্তে রাজ্যে রয়েছে দেড়শ’ কোম্পানি বাহিনী। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের এক আধিকারিকের মতে ভোট ঘোষণা হওয়ার পরেই রাজ্যে আসবে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর, প্রথম দফা ভোটার আগেই রাজ্যে আসবে আরো বাহিনী। এরপর প্রত্যেক দফা অনুযায়ী, বাহিনী আসবে রাজ্যে।
কমিশন সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের সময় একই সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার প্রাক্তন বিধায়ক ইদ্রিস আলী এবং বরানগরের প্রাক্তন বিধায়ক তাপস রায়ের আসনে বিধানসভার উপনির্বাচন হবে। সূত্রের খবর, এই উপনির্বাচনের জন্য কমিশনের সবরকমের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলা শাসকদের সঙ্গে জরুরি পর্যায়ের বৈঠক করা হয় সকাল ১১ টা থেকে। ইতিমধ্যেই এই দুই জেলার সম্পূর্ণ রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে, কমিশন সূত্রে খবর, গোটা রাজ্যে এই মুহূর্তে জামিন অযোগ্য পরোয়ানার সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। যার মধ্যে কলকাতায় জামিন অযোগ্য পরোয়ানার সংখ্যা সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের বেশি বলেই খবর কমিশন সূত্রে। উল্লেখ্য, এই জামিন অযোগ্য পরোয়ানার সংখ্যা একেবারে শূন্যে করার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে ভোটের প্রস্তুতি দেখতে এসেও নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ এই বিষয় নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সমস্ত জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের। যদিও, এখনও পর্যন্ত কমিশনের সেই নির্দেশ পালন করতে পারেননি জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা।
