বিদেশি ছাত্রদের ওপর হামলা: মামলা নিতে অস্বীকার গুজরাত হাইকোর্টের

আহমদাবাদ ১৮মার্চ:বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে বিদেশি ছাত্রদের উপর হামলার প্রসঙ্গে গুজরাত হাইকোর্ট সোমবার বলেছে, এর জন্য তদন্ত সংস্থা গঠন করা উচিত নয় এবং প্রতিটি ঘটনা পিআইএলের বিষয় নয়।গুজরাত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সুনিতা আগরওয়াল এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ পি মায়ী ঘটনার স্বতঃপ্রণোদনা (নিজে থেকে)মামলা নিতে অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন পুলিশ এটি খতিয়ে দেখবে।
একজন আইনজীবী বিষয়টিকে স্বতঃপ্রণোদিত পিআইএল (জনস্বার্থ মামলা) হিসাবে গ্রহণ করার অনুরোধ করার পরে আদালত এই মন্তব্য করেছে। প্রধান বিচারপতি আগরওয়াল বলেছেন,“আমাদের প্রচেষ্টা থাকে ন্যায়বিচার করা, তবে আমাদের একটি তদন্তকারী সংস্থা বানাবেন না। আমরা তা করছি না। আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই যে আমরা সাংবিধানিক আদালত। যদি এই ধরনের বিষয় আসে আমরা অবশ্যই বিবেচনায় নেব, তবে এটি তার মধ্যে একটি নয়। ”
তিনি আরও বলেন, শহরের প্রতিটি ঘটনা পিআইএলের বিষয় নয়।পুলিশ পরিদর্শকদের দিয়ে এই আদালতকে প্রতিস্থাপন করবেন না। আমাদের পুলিশের ইন্সপেক্টর বানাবেন না। আমরা তদন্তকারী অফিসার নই।”
আইনজীবী কে আর কোষ্টি যখন আবেদন দাখিল করেন যে পুলিশ এফআইআর-এ সমস্ত প্রাসঙ্গিক ধারা অন্তর্ভুক্ত করেনি, তখন আদালত তাকে আইনি প্রতিকার নিতে বলে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে আহমদাবাদে সরকার পরিচালিত গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে প্রায় দুই ডজন লোক ঢুকেছিল এবং বিদেশ দেশ থেকে আসা ছাত্রদের উপর তারা হামলা করে যখন তারা নামায পড়ছিল।
এ-ব্লক হোস্টেলে সংঘটিত হামলার ঘটনার পর দুই ছাত্র- একজন শ্রীলঙ্কার এবং আরেকজন তাজিকিস্তানের, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশ আগেই জানিয়েছে।২০-২৫ জন অজ্ঞাত আততায়ীর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে, এবং ঘটনার তদন্ত করার জন্য নয়টি দল গঠন করা হয়েছে বলে তারা জানায়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।